রিকশায় ছাত্রলীগ নেতাকে পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতনের অভিযোগ
Published: 20th, April 2025 GMT
নাটোরে মধ্যযুগীয় কায়দায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নির্যাতনের পর রিকশায় করে শহর ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শহরের কানাইখালী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে (২৫) রিকশায় শুইয়ে পিঠের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরেছেন এক যুবক। এসময় গান বাজছিল।
আরো পড়ুন:
রোগীর মৃত্যু, অবহেলার অভিযোগে মেডিকেল অফিসারকে মারধর
গোপালগঞ্জে গোবিপ্রবির ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নেতাকে মারধর
ফয়সাল হোসেন কদর বলেন, “আমি ফায়ার সার্ভিসের মোড় থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় পেছন থেকে এসে আমাকে মারধর শুরু করেন নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জুবায়েরের সমর্থকরা। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিকশায় তুলে আমাকে শুইয়ে মারতে শুরু করেন তারা। এভাবে পুরো শহর ঘুরায় তারা। পরে লিখিত মুচলেকা নিয়ে আমাকে বাবা-মার কাছে তুলে দেন তারা।”
নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জুবায়ের সাংবাদিকদের বলেন, “ছাত্রদলের কিছু কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে (কদরকে) মারধর করছিল। আমি তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছি।”
নাটোর সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।”
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ ছ ত রদল ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
৬ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি মমতাজ
মানিকগঞ্জের আলাদা দুই মামলায় কণ্ঠশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে হরিরামপুরে থানায় ভাঙচুর ও মারামারি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শুনানি হয়। এসময় আসামি মমতাজের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর এর আদালতে ২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহতের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শুনানি হয়। এতে মমতাজ বেগমকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এসময় আদালত চত্বরে মমতাজের শাস্তির দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে ও প্রিজনভ্যানে তোলার সময় মমতাজের ওপর ডিম নিক্ষেপ করা হয়।
এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে মমতাজ বেগমকে আদালতে আনা হয়।
মমতাজ বেগমকে আদালতে উঠানোর সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও নেতাকর্মীরা তাঁর শাস্তি দাবীতে বিক্ষোভ করেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
আদালত পুলিশের ওসি আবুল খায়ের জানান, ২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় মমতাজ বেগমকে তিন নম্বর আসামি করে ২০২৪ সালে ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর তার নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।
ওসি আরও জানান, আজ বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। এতে একটি আদালতে দুই দিন ও অন্য আদালতে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। আসামিকে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ঢাকায় বেশ কিছু থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মমতাজ বেগম চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছিল।