রংপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জের ঘনিরামপুর বেলতলি পেট্রোল পাম্পের কাছে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন এবং বিকেলে পীরগাছায় নিহত হন ট্রলিচালক। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে ২ জন তারাগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বেলতলি পেট্রোল পাম্পের কাছে গেলে পিছন দিক থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের পিছনে থাকা ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় মোটরসাইকেলের চালক ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন এসে আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

নিহত ব্যক্তির নাম মহুবার রহমান (৫৫)। তার বাড়ি উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর নদীরপার গ্রামে। তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি খান শরিফুল ইসলাম বলেন, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, রোববার বিকেলে পীরগাছা উপজেলার সুখানপুকুর ব্রিজের কাছে চাল বোঝাই ট্রলি উল্টে চালক নয়ন মিয়ার (৩৫) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ট্রলিচালক নয়ন মিয়া ইটাকুমারী ইউনিয়নের খামার বড়ভিটা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগাছা থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ইটাকুমারী ইউনিয়নের ডিলার আব্দুর রাজ্জাকের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পরিবহন করছিলেন চালক নয়ন মিয়া। তিনি সুখানপুকুর ব্রিজের কাছে আসলে হঠাৎ করে ট্রলির পেছনের দুটি চাকার মধ্যে এক্সেল ভেঙে যায়। এ সময় ট্রলিটি উল্টে গিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এবং নয়ন মিয়া ট্রলি ও গাছের মাঝে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত নয়ন ম য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ