ঠাকুরগাঁওয়ে খাইরুন নাহার (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের একটি কবরের ওপর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত খাইরুন নাহার জিয়াখোর গ্রামের মোহাম্মদ তাজমুলের স্ত্রী। বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত সরকার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত রাতে প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমাতে যান খাইরুন নাহার। সোমবার সকালে তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন। এসময় বাড়ির পাশে তার পায়ের জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে সেই পথ অনুসরণ করে একটি কবরের ওপর তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

মামা-মামি ও বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত সরকার বলেন, “মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে।”

ঢাকা/হিমেল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কেনার অভিযোগে ব্রাজিল ফুটবলপ্রধানের অফিস ও বাসায় তল্লাশি

ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের শহর রোরাইমায় ভোটে অনিয়ম তদন্তে বুধবার ‘অপারেশন কাইজা প্রেতা’ (ব্ল্যাক বক্স) শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। ইএসপিএন ব্রাজিল জানিয়েছে, এই তদন্তে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি সামির সাউদ অন্যতম সন্দেহভাজন।

২০২৪ সালে রোরাইমা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট ক্রয়ের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে ব্রাজিলের পুলিশ। সেখানকার ফেডারেল ডেপুটি হেলেনা লিমা এই তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু, যা শুরু হয় গত বছর। তাঁর স্বামী ও ব্যবসায়ী রেইনালদো লিমা রোরাইমায় পৌরসভা নির্বাচনের আগে ৫ লাখ ব্রাজিলিয়ান রিয়ালসহ গ্রেপ্তার হন। সাউদ হেলেনা লিমার সহযোগী এবং তাঁরা একই রাজনৈতিক (এমডিবি) দলের সদস্য।

আরও পড়ুনরোনালদোর যে ‘খিদে কখনো কমে না’২ ঘণ্টা আগে

সামির সাউদ, হেলেনা লিমা, রেইনালদো লিমা ও রোরাইমার যোগাযোগ অবকাঠামোর (ডিএনআইটি) সুপারিনটেনডেন্ট ইগো ব্রাসিল ছাড়াও আরও ৬ জন পুলিশের এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু। সিবিএফ সদর দপ্তর ছাড়াও সাউদের বাসায়ও অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

সিবিএফ নিশ্চিত করেছে, ‘সকাল ৬টা ২৪ মিনিট থেকে ৬টা ৫২ মিনিটের মধ্যে সদর দপ্তরে পুলিশ এসেছে এবং এই অভিযান রোরাইমা নির্বাচনী আদালতের নির্দেশে শুরু হওয়া তদন্তের অংশ।’ সিবিএফ এটাও নিশ্চিত করেছে, ‘এই অভিযানের সঙ্গে সিবিএফ ও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের কোনো সম্পর্ক নেই।’ পাশাপাশি ‘সভাপতি সামির সাউদ তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু নন’—এই কথাও জানানো হয়েছে সিবিএফের পক্ষ থেকে।

সিবিএফ সদরদপ্তরেও অভিযান চালায় ব্রাজিলের পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ