‘বৈষম্যবিরোধীর ব্যানারে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন চলছে’
Published: 21st, April 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের মাধ্যমে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।
তিনি বলছেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের মাধ্যমে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। কেউ যদি এ ব্যানারকে ব্যবহার করে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু কঠোর অবস্থান নিতে ভুল করব না।”
সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম পারভেজের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রনেতাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সন্ত্রাসের রাজত্বকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চলছে। আমাদের উদারতা, নমনীয়তা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতাকে যদি কেউ সহজ সরলভাবে গ্রহণ করেন, তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কোনো গুপ্ত সংগঠন না, গুপ্ত রাজনীতিতে বিশ্বাসী না।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের কোন সরকারি দপ্তরে আমরা কোনো অনির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি দেখতে চাই না। তাদের সবাইকে অতিদ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ, ছাত্র প্রতিনিধির নামে যে বৈষম্য চলছে, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।”
ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অসংখ্য ছাত্র নির্যাতনকারী, ছাত্রলীগের দোসর, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা সাধারণ শিক্ষার্থী বেশে এখনো ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। যদি কাউকে দেখেন ছাত্রলীগের দোসরের ভূমিকায় ছিল, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অবগত করবেন।”
ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীরা তো রাজনীতির ‘র’ ও বোঝে না। তারা রাজনীতি নিয়ে অনেক সময় সচেতন থাকতে পারে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা একেবারে রাজনীতি বিমুখ হলে, একটি দেশ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলতে পারে না।
তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের দেয়াল থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমরা চুপ করে ছিলাম। আমরা মনে করেছি, শিক্ষার্থীরা যেহেতু একটি ট্রমার মধ্যে আছে, আমরা প্রতিক্রিয়া দেখালে ভুল বোঝাবুঝি হবে। কিন্তু এখন আনাচে-কানাচে নামে-বেনামে মঞ্চ তৈরি হয়েছে।”
মানববন্ধন কর্মসূচীতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি ছাত্রদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন, সহ সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক প্রমুখ।
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।