নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় ‘নতুন মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায়’ বসতবাড়ি–সংলগ্ন পোলট্রি খামারে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ১৫ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় খামারটির পাশাপাশি রান্নাঘর পুড়ে গেছে। গতকাল রোববার উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত কিশোর স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ওই কিশোরের বাবা বলেন, তাঁর ১২৫ সিসির একটি পুরোনো মোটরসাইকেল আছে। সেটি ওই কিশোর মাঝেমধ্যেই ব্যবহার করত। তবে ছয় মাস ধরে সে একটি নতুন মোটরসাইকেলের আবদার করে আসছে। এ আবদার পূরণ করতে না পারায় সে রাগ-ক্ষোভ দেখিয়ে আসছিল। তার কয়েকজন বন্ধু নতুন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল চালায়, তাই তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে তারও এখন নতুন মোটরসাইকেল প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল।  

কিশোরের বাবা আরও জানান, গতকাল বিকেলে বিষয়টি নিয়ে ছেলের সঙ্গে তাঁর কথা–কাটাকাটি হয়। মোটরসাইকেল কিনে না দিলে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের গ্রামে বোনের বাড়িতে চলে যায়। পরে রাত ৯টার দিকে সে বাড়ি ফিরে খামার ও রান্নাঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। খামারের অন্তত ১৮টি মুরগি মারা গেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

মনোহরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করা হয়েছিল। তবে তার বাবা ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার অনুরোধে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পরিবার এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।

অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।

ঋত্বিক ঘটক

সম্পর্কিত নিবন্ধ