খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি কারাগারে
Published: 21st, April 2025 GMT
খুলনার বটিয়াঘাটায় শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান খোকনকে (৫০) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাটিয়াঘাটা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম।
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাতে মিজানুর রহমানকে উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৬।
ওসি মো.
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে অপহৃত শিক্ষককে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
র্যাব-৬-এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৯ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে উপজেলার একটি গ্রামের দোকান থেকে খাবার কিনে বাড়ি ফিরছিল শিশুটি। পথিমধ্যে খোকন নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে তার বাবা ডাকছে বলে জানায়। এ কথায় শিশুটি তার সঙ্গে একটি পরিত্যক্ত ঘরে প্রবেশ করে। এসময় সেখানে থাকা কয়েকজন মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। গত ২০ এপ্রিল শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে র্যাব-৬-এর সদস্যরা বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি