খুলনার বটিয়াঘাটায় শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান খোকনকে (৫০) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাটিয়াঘাটা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম। 

রবিবার (২০ এপ্রিল) রাতে মিজানুর রহমানকে উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৬।

ওসি মো.

মনিরুল ইসলাম বলেন, “আসামি মিজানুর রহমান খোকনকে র‌্যাব থানায় হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে অপহৃত শিক্ষককে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

র‌্যাব-৬-এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৯ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে উপজেলার একটি গ্রামের দোকান থেকে খাবার কিনে বাড়ি ফিরছিল শিশুটি। পথিমধ্যে খোকন নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে তার বাবা ডাকছে বলে জানায়। এ কথায় শিশুটি তার সঙ্গে একটি পরিত্যক্ত ঘরে প্রবেশ করে। এসময় সেখানে থাকা কয়েকজন মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। গত ২০ এপ্রিল শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে র‌্যাব-৬-এর সদস্যরা বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ