অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে
Published: 21st, April 2025 GMT
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে মারামারির মামলায় আসামি ধরার পর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পার্থ শেখর ঘোষের বিরুদ্ধে। পরে আহত ওই নারী সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
আহত ওই নারীর নাম সায়মা আক্তার। তিনি সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের হুমায়ন মিয়ার স্ত্রী।
আহত সায়মা আক্তারকে সহযোগিতা করতে আসা সোনিয়া আক্তারকে নামের এক নারী ও তার দেড় বছরের ছেলেকে ২১ ঘণ্টা থানা-হেফাজতে আটকে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজমের বিরুদ্ধে। সোনিয়া আক্তার একই মামলার আসামি ওয়াজ উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় সায়মা আক্তার গত রোববার মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মাসুদ বাদশার ওপর হামলা মামলার আসামি হুমায়ন মিয়াকে গ্রেপ্তারে তার বাড়িতে অভিযান চালান সিংগাইর থানার এসআই পার্থ শেখর ঘোষ। অভিযানে গ্রেপ্তার হন হুমায়ন এবং তাকে পরানো হয় হাতকড়া। তবে এ সময় পুলিশের সঙ্গে আসামির ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে আসামি পালিয়ে যায়। পরিবারটির অভিযোগ, এতে ক্ষিপ্ত হন এসআই পার্থ শেখর ঘোষ এবং আসামির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সায়মা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এতে আহত হন সায়মা।
পুলিশ সুপারকে দেওয়া অভিযোগপত্রে সায়মা বলেন, এসআইয়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে আহত সায়মাকে সহযোগিতা করতে আসেন প্রতিবেশী সোনিয়া আক্তার ও আরিফ নামের দুজন। তখন ওসির নির্দেশে তাদের আটক করে থানায় নেওয়া হয়। পরে দেড় বছরের ছেলেসহ সোনিয়া আক্তারকে ২১ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হয়। আরিফকে চালান করা হয় আদালতে।
সায়মার আরও অভিযোগ, এ ঘটনার পর সিংগাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম সায়মা আক্তারের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হুমকি দিয়ে এসেছেন। পালিয়ে যাওয়া আসামি হুমায়ন আত্মসমর্পণ না করলে পরিবারের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুমকি দেন।
তবে অন্তঃসত্ত্বা সায়মা আক্তারকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই পার্থ শেখর ঘোষ। তিনি বলেন, 'আসামি হুমায়নকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার পরিবারে সদস্য এবং আশপাশের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে মব সৃষ্টি করে। তারা হুমায়নকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। আসামির স্ত্রী সায়মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়নি।'
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, 'ছেলেসহ ওই নারীকে ২১ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়নি। থানার আনার পর তার পরিবারের সদস্যরা ছেলেকে মায়ের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য থানায় আনেন। ছেলে মায়ের সঙ্গে গারদে দেখা করে। কোনোভাবেই শিশুকে ২১ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়নি। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে সোনিয়ার সম্পৃক্ত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোসাম্মৎ ইয়াছমিন খাতুন বলেন, 'এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ অভ য গ আটক পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
এইচএসসি ও সমমান উত্তীর্ণদের জন্য ৩ কোটি টাকার স্কলারশিপ ঘোষণা
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য তিন কোটি টাকার মেগা স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাস।
এ বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখন দেশে থেকেই মালয়েশিয়ার ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন।
আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাস রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত। এটি মালয়েশিয়া ও আন্তর্জাতিক শিক্ষকদের সমন্বয়ে বৈশ্বিক পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পরিচালিত।
এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় যোগ্য শিক্ষার্থীরা ২০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পেতে পারেন, যা নির্ধারিত হবে তাঁদের এইচএসসি, সমমান ও ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফল এবং একটি বিনা মূল্যের অনলাইন প্লেসমেন্ট টেস্টের মাধ্যমে। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা তাঁদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে স্কলারশিপ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি অর্জনের পথ উন্মুক্ত করতে পারবেন।
শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিবন্ধন করে বিনা মূল্যে প্লেসমেন্ট টেস্টে অংশ নিতে পারবেন নিম্নলিখিত লিংকে: https://ucsi-scholarship-form.web.app/
বিস্তারিত তথ্য, ভর্তিপ্রক্রিয়া ও প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন:
https://www.bangladesh.ucsiuniversity.edu.my/