জেলা প্রশাসনকে সহযোগীতা করবে হেফাজতে ইসলাম
Published: 21st, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি “গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” বাস্তবায়নে হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখা।
জেলা প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক ও শিল্পনগরী। পূর্বাচলসহ নারায়ণগঞ্জের বিস্তৃত এলাকাগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে পরিচ্ছন্ন, আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। এই লক্ষ্যে আপনাদের মত ইসলামী চিন্তাবিদ ও সমাজপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সীমান্তচিহ্ন গুলো আলাদা করে ‘স্বাগতম’ ও ‘ধন্যবাদ’ লিখে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যেন জেলার গৌরব ও সীমানা স্পষ্টভাবে রক্ষা পায়।
মুফতি মনির হোসেন কাসেমী বলেন, আমরা সব সময় যৌতুক, মাদক, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে একটা সমাজকে নষ্ট করার মত যা আছে সবগুলোর বিরুদ্ধে কিন্তু কথা বলি। বছরের ৫২ সপ্তাহে অন্যায়র বিরুদ্ধে কথা বলি ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোঃ আলমগীর হুসাইন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী,সহ-সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি এহতেশামুল হক কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল কাদের নদভী, হেফাজত ইসলাম জেলা সহসভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দাইমী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম আব্বাস প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।