যুক্তরাষ্ট্রে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে ট্রাম্পের মন্ত্রীর ব্যাগ চুরি
Published: 22nd, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির একটি রেস্তোরাঁয় গত রোববার নৈশভোজে গিয়েছিলেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম। সেখানে খাওয়াদাওয়া করার সময় তাঁর ব্যাগটি চুরি হয়ে যায়। গতকাল সোমবার ক্রিস্টি নোয়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্যাগে তিন হাজার ডলার ও কিছু জিনিসপত্র ছিল।
গতকাল হোয়াইট হাউসে ইস্টার এগ রোল অনুষ্ঠানে নোয়েমের কাছে ওই চুরির ঘটনা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ সময় তিনি চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, বিষয়টির এখনো সুরাহা হয়নি।
নোয়েমের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে সিকিউরিটি সার্ভিস। তারা ক্যাপিটাল বার্গার নামের ওই রেস্তোরাঁর নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। এতে দেখা গেছে, মুখে মাস্ক পরা অজ্ঞাত এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি তাঁর ব্যাগ চুরি করছেন এবং রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক সূত্রের কাছ থেকে এমন তথ্য জানতে পেরেছে সিএনএন।
ওই চুরির ঘটনায় নোয়েমের ওষুধপথ্য, বাসার চাবি, পাসপোর্ট, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের বিশেষ ব্যাজ, মেকআপ ব্যাগ, ব্ল্যাংক চেক, প্রায় তিন হাজার ডলার এবং তাঁর গাড়িচালকের লাইসেন্স খোয়া গেছে।
ওই সূত্র আরও বলেছে, নোয়েমের আর্থিক হিসাবগুলো থেকে কোনো ধরনের লেনদেনের চেষ্টা হচ্ছে কি না, তা শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছে সিক্রেট সার্ভিস।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক মুখপাত্র বলেন, নোয়েমের সন্তান, নাতি–নাতনিরাসহ পুরো পরিবারই শহরটিতে অবস্থান করছিল। পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানো, ইস্টার সানডে উপলক্ষে তাঁদের উপহার দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজে খরচ করার জন্য তিনি নগদ অর্থ সঙ্গে রেখেছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদের এক কর্মকর্তার এত কাছাকাছি পৌঁছানো এবং তাঁর জিনিসপত্র চুরি করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি ছিল।
সিএনএনের আইনপ্রয়োগ–বিষয়ক বিশ্লেষক ও সিক্রেট সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তা জোনাথন ওয়াকরো মনে করেন, সিক্রেট সার্ভিস, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এবং সহযোগী আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর উচিত এ নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনাটি নিয়ে অবিলম্বে এবং আরও বেশি করে পর্যালোচনা করা। এ ধরনের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন কি না, তা সিক্রেট সার্ভিসের খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
শি জিনপিং ফোন করেছিলেন, ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান চীনের
শুল্ক আরোপ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে ফোন করেছিলেন বলে যে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। সোমবার বেইজিং জানিয়েছে, শি জিনপিং সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেননি। এমনকি দুই দেশের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ মেটাতে কোনো আলোচনাও হচ্ছে না। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। খবর-সিএনএন
গত সপ্তাহে টাইম সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি তাঁকে ফোন করেছেন। এ ঘটনায় চীন তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও আজ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার জানামতে, সম্প্রতি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ফোনে কোনো কথা হয়নি। আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা বা দর–কষাকষি চলছে না।’
গত শুক্রবার টাইম সাময়িকীতে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে সির প্রতি ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি মনে করি না এটি তাঁর পক্ষ থেকে কোনো দুর্বলতার ইঙ্গিত।’
ট্রাম্প বারবার সি চিন পিংকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে টাইম সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চীনের নেতার সঙ্গে কথিত ফোনালাপের বিষয়বস্তু বা সময় সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেননি। এমনকি সিএনএন শুক্রবার জানতে চাইলেও তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সিএনএনের সাংবাদিক অ্যালাইনা ট্রিনের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমি তাঁর (সি চিন পিং) সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছি।’
সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিন আগে দুই নেতা ফোনে কথা বলেন।