ছোটবেলায় বন্ধুত্ব বলতে আমরা বুঝতাম একসঙ্গে খেলা করা, হাত ধরে স্কুলে যাওয়া, ক্লাসের ফাঁকে দুষ্টুমি কিংবা টিফিন ভাগ করে খাওয়া। কৈশোর বা তারুণ্যে গিয়ে বদলে যায় সেই বন্ধুত্বের সংজ্ঞা। তখন বন্ধু মানে যার কাঁধে মাথা রেখে মনের কষ্ট ভাগ করে নেওয়া যায়, যাকে বলা যায় মনের গোপন সব কথা, যার সঙ্গে বসে ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা বলা যায়।
আবার বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পৌঁছে বন্ধু হয়ে যায় পরম স্বজনের মতো। ক্লাস, লেকচার ভাগাভাগি থেকে শুরু করে অ্যাটেনডেন্স দিয়ে দেওয়া, এক প্লেট খাবার কিংবা এক কাপ চা ভাগ করে নেওয়া, নতুন কোনো শহর কিংবা নতুন কোনো জায়গায় ঘুরতে যাওয়া, এক রকম পোশাক বানানো কিংবা ঈদে একসঙ্গে বাড়ি ফেরা; এসব দিয়েই তখন বন্ধুত্বের গভীরতা মাপি আমরা।
এই পর্যায়ে দেখা যায় ক্লাসের, ব্যাচের কিংবা হলের প্রায় সবার সঙ্গেই সবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে। সবাই সবার সম্পর্কে প্রাথমিক সব তথ্যই জানি, অন্য কারও সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তখন বলি, ‘ও আমার বন্ধু।’
এরপরই আসে কর্মজীবন। দিনের অন্তত আট ঘণ্টা কাটে সহকর্মীদের সঙ্গে, অফিসভেদে তা আরও বাড়ে। একসঙ্গে অফিস যাওয়া-আসা, দুপুরের খাবার ভাগ করে খাওয়া, কাজের ফাঁকে ক্যানটিনে কিংবা অফিসের নিচে টংদোকানে চা পান করা, জীবনের সুখ-দুঃখের সব গল্প ভাগ করে নেওয়া শুরু হয় তখন। সেই সময় মনে হয় এরাই পরম বন্ধু।
আরও পড়ুনব্যবসা করতে গিয়ে বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে না তো২৩ নভেম্বর ২০২৩বন্ধুত্ব হোক প্রাণ খুলে মনের কথা বলার মানুষের সঙ্গে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সংস্থাটির সবাইকে একত্রিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতিসহ জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এই সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরিপূর্ণ দায়িত্বশীল হয়ে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সভায় কর্মকর্তাদের দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বিএসইসির কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা আগের সব ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি কমিশনের বিভিন্ন সমস্যার সুরাহা করার বিষয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আশ্বাস দেন তাঁরা।
বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।