রাজশাহীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের বুলনপুর নবাবগঞ্জ ঘোষপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম সাগর সাহা (৩০)। তিনি নগরের বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর শাস্তির দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সাগর সাহা প্রায় এক বছর ধরে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.

)–কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে আসছিলেন। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তিনি তা শোনেননি। গতকাল সন্ধ্যায় মসজিদের সামনে তিনি আবারও প্রকাশ্যে কটূক্তিমূলক কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে তিনি মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে উচ্চ স্বরে অশ্লীল ভাষা ও ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করতে থাকেন। এতে মুসল্লিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। কল পেয়ে রাজপাড়া থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় সাগরকে আটক করে। ঘটনার পর রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

সাগরের শাস্তি নিশ্চিতে আজ বেলা সাড়ে বারোটার দিকে নগরের বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে মিছিলটি নগরের সিএনজি মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে যায়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ