রাজশাহীতে মহানবী (সা.)–কে কটূক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 23rd, April 2025 GMT
রাজশাহীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের বুলনপুর নবাবগঞ্জ ঘোষপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম সাগর সাহা (৩০)। তিনি নগরের বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর শাস্তির দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সাগর সাহা প্রায় এক বছর ধরে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। কল পেয়ে রাজপাড়া থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় সাগরকে আটক করে। ঘটনার পর রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
সাগরের শাস্তি নিশ্চিতে আজ বেলা সাড়ে বারোটার দিকে নগরের বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে মিছিলটি নগরের সিএনজি মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে যায়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।