‘সময় একটু খারাপ যাচ্ছে’- বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরুর আগে বলেছিলেন। সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছে। মাঠের ক্রিকেটে কোন ফলাফল নেই। পারফরম্যান্স একেবারেই মানহীন, হতশ্রী। তাই ক্রিকেট বাজারেও অস্থিরতা।

বিসিবির ব্যবসার দোদুল্যমান অবস্থা। ক্রিকেটারদের বাজারে আরো খরা। যা একেবারেই ছড়াচ্ছে অস্বস্তি। দেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক মান ও পরিস্থিতি নিয়ে তাই নানান প্রশ্ন ওঠছে।

টিভি সম্প্রচার স্বস্ত বিক্রি না হওয়া
দেশের মাঠে বাংলাদেশের সিরিজগুলো গত কয়েক বছর ধরে সম্প্রচার করে আসছে টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি। এছাড়া নাগরিক টিভি ও মাছরাঙা চ্যানেলও নানা সময়ে খেলা সম্প্রচার করেছে। এছাড়া অনলাইনে টফি অ্যাপও সম্প্রচার করেছে খেলা। বাংলাদেশে ক্রিকেট উন্মাদনা যে পর্যায়ের, তাতে কোনো সিরিজ দেখাতে চ্যানেলগুলোর আগ্রহ থাকবে না, কিছুদিন আগেও এটা ছিল অভাবনীয়। কিন্তু বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে সিরিজের সম্প্রচার করতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। নিজের প্রোডাকশন রিয়্যাল ইমপ্যাক্টকে দিয়ে বিসিবি দায়সারা কাজ করছে এত বছর। এবারও তাই করছে; কিন্তু সম্প্রচারে এগিয়ে আসছিল না কেউ। শেষ পর্যন্ত দেশের সরকারী চ্যানেল বিটিভি খেলা সম্প্রচারে আগ্রহ দেখানোয় হাফ ছেঁড়ে বাঁচে বিসিবি। সিলেটের পর তারা দেখাবে চট্টগ্রাম টেস্টও।

আরো পড়ুন:

সিলেটে দায়িত্ব পালনকালে বিসিবির নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান

স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ‘নাখোশ’
২০২৭ পর্যন্ত ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক সিরিজের স্বত্বও কিনেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। ২ টেস্টের সঙ্গে ৩ টি-টোয়েন্টি। কিন্তু টেস্ট সিরিজ স্থগিত করে বিসিবি ৫ টি-টোয়েন্টি আয়োজন করে। এবার সেই স্থগিত হওয়া সিরিজ খেলতে এসেছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ক্রিকেটারদের চরম বাজে পারফরম‌্যান্সের কারণে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে না প্রত‌্যাশিত মাইলেজ। যা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি নাখোশ। এর আগেও তারা ২০২৩ সালে, দুই বছরের জন‌্য ১০টি হোম সিরিজ আয়োজন করে ১৫-২০ কোটি টাকা লোকশানের দাবি করেছিল। বিসিবি দীর্ঘ সময়ের জন‌্য ডাচ বাংলা ব‌্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান পেলেও ক্রিকেটারদের মাঠের পারফরম‌্যান্সের কারণে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানও এখন ভালো অনুভব করছে না।

ক্রিকেটারদের বিজ্ঞাপন বাজারে ‘ধস’
পারফরম্যান্সের ঘাটতি, তারকা খ্যাতির অভাব এবং প্রবল সমালোচনার মুখে থাকায় ক্রিকেটারদের বিজ্ঞাপন বাজারেও ধস নেমেছে। লম্বা সময় ধরে বিজ্ঞাপনের এই বাজার রাজত্ব করেছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও টুকটাক করেছেন। এখন মিরাজ, তাসকিন, শান্ত বিজ্ঞাপনের বাজারে থাকলেও বলার মতো অবস্থাতে নেই।
ক্রিকেটাদের সমন্বয়ক হিসেবে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করা এক কর্মকর্তা বিজ্ঞাপন বাজার সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা দিলেন, “অনেক বড় প্রভাব পড়েছে। ‘পঞ্চপাণ্ডবের’ পর এমনিতেই ক্রিকেটারদের কদর কমে গেছে। এখন যারাই আছে তারা ওই পর্যায়েই নেই। ক্রিকেটারদের যেই বিজ্ঞাপন বাজার সেখানে সাকিব আল হাসান একাই ৫০ ভাগ দখল করে ছিলেন। বাকিরা চারজন মিলে ছিলেন ৫০ ভাগ। কিন্তু বর্তমান পারফরম্যান্সে এবং যেভাবে ক্রিকেট এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ক্রিকেটের ব্র্যান্ড ইমেজ অনেক নিচে নেমে গেছে।”

“খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স তো পড়তির দিকে। ওই স্টারডম, তারকাখ্যাতি ও পারফরম্যান্স না থাকার কারণে সব কিছুই কমে গেছে। ব্র্যান্ড একজন তারকাকে নিয়োগ দেয় তার মার্কেট ভ্যালুর কথা চিন্তা করে। কনজিউমার ওই তারকাকে দেখে হয়তো ওই প্রোডাক্টটা নেবে। কিন্তু এই দলটাতে ওই এক্স-ফ্যাক্টর নেই বললেই চলে।”

আরেকটি বিষয়কেও তিনি নজরে এনেছেন, “ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের আমেজটা কমে গেছে। আর ফুটবলে হঠাৎ করে একটা জোয়ার উঠেছে। সেটা হামজা চৌধুরীর কারণে। ওই হাইপটা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ধরতে চাচ্ছে। যার কারণে ফুটবলে এখন নজর কিছুটা চলে গেছে।”
টিকিট ছাপানোর খরচও ওঠেনি!

বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটের দর্শক এমনিতেই কম। প্রতিপক্ষ এবং ভেন্যুর ওপর নির্ভর করে দর্শক সমাগম। সিলেট টেস্টে গ্যালারি খাঁ-খাঁ করেছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ১৮ হাজার। দিনের হিসাবে ৭ হাজার ১০০ টিকিট ছাপা হয়েছে। এই টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছে মধুমতি ব্যাংক। সিলেটে স্টেডিয়াম কাউন্টার এবং আম্বরখানার মধুমতি ব্যাংক শাখা থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়।

টিকিট বিক্রির বুথ ও ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চারদিনে দুই হাজার বেশি টিকিট বিক্রি হয়নি। যার আর্থিক মূল্য আড়াই লাখ টাকার কাছাকাছি। এই টেস্টের জন্য সব মিলিয়ে পাঁচ দিনের জন্য ৩৫ হাজার ৫০০ টিকিট ছাপা হয়েছে। খেলা চারদিনের হওয়াতে একদিনের টিকিট পুরো বিফলে গেছে। বাকি চারদিনের টিকিটেও লোকসান গুনতে হয়েছে।

এই টিকিট ছাপতেই মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়েছে বিসিবিকে। আবার মধুমতি ব্যাংককেও টিকিট বিক্রির আয়ের ভাগ দিতে হবে। সিলেট ও চট্টগ্রামে দুই টেস্ট মিলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা জমা হতে পারে। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা দুই টেস্টের সিরিজে টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১২ লাখ টাকা।

ফলে টিকিট ছাপানোর যে খরচ উঠে আসবে না তা সিলেটের ভেন্যুর কর্মকর্তার কথাতে উঠে আসল, “মাঠের চিত্র তো সবাই দেখেছে। এখানে আর বলার কি আছে। টেস্টের প্রতি আগ্রহ কম। সঙ্গে দলও খারাপ করেছে। যার কারণে দর্শকও ছিল না। যেই টিকিট ছাপানো হয়েছে তার দশ ভাগও বিক্রি হয়নি। লাভ হতে হলেও অন্তত ৪০ ভাগ টিকিট বিক্রি হতে হয়। সেখানে এবার তো টিকিট ছাপানোর খরচও উঠে আসবে না।”

এই অস্থিরতা, নিজেদের ইমেজ সংকট এবং পারফরম্যান্সের দায় জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেদের কাঁধেই নিয়েছেন, “পারফরম্যান্স করেই ভ্যালুটা তৈরি করতে হবে। পারফরম্যান্স নেই বলেই ভ্যালুটা নিচের দিকে যাচ্ছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স যখন ভালো হবে তখন এটা (ক্রিকেট ভ্যালু) ওপরের দিকেই যাবে।”

সিলেট/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রফরম য ন স

এছাড়াও পড়ুন:

লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা

লরা উলভার্ট- দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। বয়স মাত্র ছাব্বিশ, কিন্তু মনের দৃঢ়তায় যেন পাহাড়। এবারের ২০২৫ নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন প্রোটিয়া আশার একমাত্র আলোকবর্তিকা। নিজের একক নৈপুণ্যে, এক অসম্ভব সাহসিকতায় দলকে টেনে তুলেছিলেন ফাইনালের মঞ্চে।

সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে ফেলেছিলেন ১৬৯ রানের অনবদ্য ইনিংস। যেন একক নাটকের একমাত্র নায়িকা তিনি। আর ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন হিমালয়ের মতো দৃঢ় হয়ে। একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অনবদ্যভাবে। শতরান ছুঁয়ে যখন আকাশে ছুড়লেন ব্যাট, তখন মনে হচ্ছিল, স্বপ্নের ট্রফি যেন হাতের নাগালেই। কিন্তু ক্রিকেটের নির্মম বাস্তবতা! উলভার্ট যখন সাজঘরে ফিরলেন, ঠিক তখনই প্রোটিয়া শিবিরে নেমে এল নীরবতা। জয় হাতছাড়া হলো নিঃশ্বাস দূরত্বে।

আরো পড়ুন:

আরব আমিরাতকে ৪৯ রানে গুঁড়িয়ে ইতিহাস গড়ল যুক্তরাষ্ট্র

মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা

চোখের কোণে জলের কণা তখনও ঝলমল করছিল। সেটা ঘামের ছিল, নাকি অপূর্ণতার অশ্রু, তা কেউ জানে না। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল, হৃদয়ের গভীরে আগুন জ্বলছে। একটা স্বপ্নের দগ্ধ ছাই হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা।

তবুও এই ব্যর্থতার মাঝেই উলভার্টের জয় আছে। বিশ্বকাপে তিন ফাইনাল, টানা তিনবার! এবং প্রতিবারই দলের একমাত্র ভরসা ছিলেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে করেছেন ৯ ম্যাচে ৫৭১ রান, গড়ে ৭১.৩৭। যা নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ। এর আগে অ্যালিসা হিলির ৫০৯ রান ছিল শীর্ষে।

শুরুটা ছিল নিস্তরঙ্গ- প্রথম ম্যাচে মাত্র ৫, পরেরটিতে ১৪। কিন্তু ধীরে ধীরে আগুন জ্বলে উঠল তার ব্যাটে। ভারতের বিপক্ষে ৭০, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ৬০, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯০, আর সেমিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬৯। প্রতিটি ইনিংস যেন নিজের সীমাকে ছাপিয়ে যাওয়া একেকটি যাত্রা।

তবে উলভার্টের কীর্তি শুধু এই বিশ্বকাপেই নয়। ২০২৩ ও ২০২৪ দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। প্রতিবারই দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। কিন্তু ভাগ্য যেন নিষ্ঠুরভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তার দিক থেকে। তিনটি ফাইনাল, তিনটি পরাজয়।

তবু লরার গল্পটা হারের নয়- এ এক অনমনীয়তার গল্প, এক নিঃসঙ্গ অভিযাত্রার গল্প। যেমন শেরপা অক্সিজেনহীন উচ্চতায় পৌঁছে দেয় অন্যদের। কিন্তু নিজে ফিরে আসে নীরবে, তেমনি উলভার্টও দলের স্বপ্নগুলো কাঁধে তুলে বয়ে নিয়েছেন, একা।

ফাইনাল শেষে ভারতীয় খেলোয়াড়রাও যখন এগিয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন, তখন বোঝা গেল; এই হার, এই অশ্রু, এই নীরবতা- সবই সম্মানের প্রতীক।

রবিবার ফাইনাল শেষে লরা বলেছেন অনেক কথা। সেখানে হাতাশার কিছু পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে প্রেরণা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস।

“আমি মনে করি, ২০২৩ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (নিউল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত) পর থেকেই আমাদের জন্য অনেক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই ঘরোয়া পর্যায়ে কেন্দ্রীয় চুক্তির ব্যবস্থা চালু হয়। আমাদের দলের গভীরতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটা ছিল এক বিশাল পদক্ষেপ।”

“এরপরের (২০২৪ সালের) বিশ্বকাপটা আমাদের দলের নামটা বিশ্ব ক্রিকেটে আরও বড় করে তুলেছে, আমার তাই মনে হয়। এখন আমরা এমন একটি দল, যারা নিয়মিত ফাইনালে পৌঁছাচ্ছে। যেখানে আগে এটা একবারের সাফল্য বলেই ধরা হতো।”

“টানা তিনবার ফাইনালে উঠতে পারাটা সত্যিই গর্বের বিষয়। এটা প্রমাণ করে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে এবং দলীয় কাঠামোয় সঠিক দিকেই এগোচ্ছি। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের এই ফলেই আমরা এখানে পৌঁছেছি। আশা করি, আমরা এমন আরও ফাইনাল খেলতে থাকব… আর একদিন, হ্যাঁ, একদিন আমরা অবশ্যই একটা জিতব।”

টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স নিয়ে উলভার্ট বলেন, “আমার মনে হয়, আমাদের এই আসরটা অসাধারণ কেটেছে। ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানোই একটা বড় সাফল্য। আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ক্রিকেট খেলেছি। এই বিষয়টা নিয়েই আমি সবচেয়ে বেশি গর্বিত।”

“একপর্যায়ে আমরা টানা পাঁচটা ম্যাচ জিতেছিলাম। যা আমাদের দলের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। দুই দলের মধ্যকার সিরিজগুলোতে আমরা সবসময় এই ধারাবাহিকতা পাই না। তাই বড় মঞ্চে, বড় টুর্নামেন্টে এমন পারফরম্যান্স দিতে পারাটা সত্যিই গর্বের। আমরা প্রমাণ করেছি, বড় আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাও এখন বড় দল।” 

সত্যিই তাই। লরার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন বড় দল। হয়তো একদিন, কোনো এক প্রভাতে, লরা উলভার্ট সেই অধরা ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখবেন। কিন্তু আজকের দিনে, তিনি রয়েছেন বিশ্বকাপের হিমালয়ের চূড়ায়, এক নিঃসঙ্গ শেরপা হয়ে। যিনি নিজের কীর্তিতে চূড়ায় উঠেছেন।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা
  • অ্যালবামের গল্প বলবে ‘পেনোয়া’