বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস যুগোপযোগী করার কাজ চলছে। ৪৯ তম বিসিএস থেকে যুগোপযোগী সিলেবাস হবে। অন্য দেশের সিভিল সার্ভিসের সিলেবাস জোগাড় করা হচ্ছে। নতুন সিলেবাস এমন হবে যেন প্রার্থী বিশ্বে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারেন। পিএসসি হবে শিক্ষার্থী বান্ধব প্রতিষ্ঠান।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম এসব কথা বলেছেন। পিএসসির কাজের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬৬২২৩ এপ্রিল ২০২৫

৪৬ তম বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ব্যর্থ হলেও তুলে ধরব। বাতিল করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই। সিআইডি ঘটনাটি তদন্ত করছে। যদি কেউ শনাক্ত হয় তাকে বাতিল করা হবে। চাকরি হয়ে গেলেও বহিষ্কার হবেন। পুরা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিইনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালেও পিএসসির কাছে ভ্যারিফাই করে নেবেন। গুজবে চাপ তৈরি হয়।

মোবাশ্বের মোনেম বলেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে পিএসসির জট কমিয়ে আনবে। আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে জট খোলার অগ্রগতি দেখা যাবে। এ জন্য কোনো পরীক্ষা পেছাতে চাচ্ছি না অন্য দেশের সিলেবাস জোগাড় করেছি। বিসিএসের সিলেবাস যুগোপযোগী করার কাজ করছি। ৪৯ থেকে যুগোপযোগী সিলেবাস হবে। গবেষণা হচ্ছে। নতুন সিলেবাস এমন হবে চাকরিপ্রার্থীরা যেন বিশ্বে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারে।

আরও পড়ুনসরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব স এস প এসস

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ