৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে ফারহান লাবীব (জিসান) ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিলয় রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় দ্বিবার্ষিক নির্বাচন-২০২৫–এর লক্ষ্যে ৩৮তম ব্যাচের সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ইয়াসিন সাদেককে প্রধান এবং শাহেদ আরমান ও জান্নাতুল মাওয়ার সমন্বয়ে সেই কমিশন গঠন হয়। এই কমিশনের ২২ এপ্রিল ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল মোতাবেক প্যানেল দাখিলের সর্বশেষ সময় ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আর কোনো প্যানেল দাখিল না করায় জিসান-নিলয় প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

এই প্যানেল থেকে ৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম হাসানুর রহমান, সহসভাপতি মো.

এহসানুল হক শিপন ও মো. সানাউল মোর্শেদ নির্বাচিত হয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ মো. মঈন খান এলিস, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. তৌহিদুল ইসলাম বারি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. মাহবুবুল ইসলাম, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক লাবনী আক্তার, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সায়েদা খানম, আন্তক্যাডার সম্প্রীতিবিষয়ক সম্পাদক কাজী মো. মেশকাতুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক পলাশ চন্দ্র সরকার, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক মো. শরিফুল হক, তথ্য ও যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, উন্নয়ন ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আফতাব আহমেদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাদিয়া আকতার, সহদপ্তর সম্পাদক নাসরিন, বিভাগীয় সম্পাদক (ঢাকা) শাহাদাত হোসেন খান, বিভাগীয় সম্পাদক (চট্টগ্রাম) মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন, বিভাগীয় সম্পাদক (রাজশাহী) শামস্ সাদাত মাহমুদ উল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক (খুলনা) এ এস এম শাহেনওয়াজ মেহদী, বিভাগীয় সম্পাদক (বরিশাল) তাসফিক সিবগাত উল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক (সিলেট) সুশান্ত সিংহ, বিভাগীয় সম্পাদক (রংপুর) মো. বোরহান উদ্দিন ও বিভাগীয় সম্পাদক (ময়মনসিংহ) পদে শেখ তাকী তাজওয়ার নির্বাচিত হয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হয় ছ ন ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের