মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস চার্জ কমছে, ১ জুলাই থেকে কার্যকর
Published: 26th, April 2025 GMT
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা ও অন্যান্য নগদ সহায়তা জিটুপি (গভমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে বিতরণের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জ ০.৭০ শতাংশ থেকে ০.৬০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা উপকারভোগী নিজেই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক নির্বাচন করতে পারবেন।  
সম্প্রতি অর্থ বিভাগের সচিব ড.                
      
				
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা ও অন্যান্য নগদ সহায়তা জিটুপি পদ্ধতিতে বিতরণে বিদ্যমান ক্যাশ আউট চার্জ ০.৭০ শতাংশ যৌক্তিক পর্যায়ে হাসের প্রস্তাব করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) এর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ জিটুপি পদ্ধতিতে বিতরণের বিষয়ে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে-
(ক) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে উপকারভোগী নিজে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান/ব্যাংক নির্বাচন করবে। এক্ষেত্রে বিতরণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার কোন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান/ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া সমীচীন হবে না।
(খ) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিতরণের জন্য অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ ০.৬০ (শূন্য দশমিক ছয়) শতাংশ নির্ধারণ করা যেতে পারে। এ হার অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে ইতঃপূর্বে সম্পাদিত চুক্তির ক্ষেত্রে এ হার ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা যেতে পারে।
(গ) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিতরণের ক্ষেত্রে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা এ অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ অনুসরণ করবে।
(ঘ) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ ক্যাশ আউট চার্জসহ একসঙ্গে প্রেরণ করা সমীচীন হবে। নগদ অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান/ব্যাংক উপকারভোগীর ওপর কোনোরূপ চার্জ আরোপ করতে পারবে না এবং ইএফটি রিটার্নের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জসহ সরকারকে ফেরত প্রদান করতে হবে। এবং
উপকারভোগীর কাছে প্রেরিত ইএফটি’র রিয়াল টাইম ট্রাকিং এর জন্য অর্থ বিভাগের সিঙ্গেল রেজিষ্ট্রি সিস্টেম এর সঙ্গে প্রত্যেক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের এপিআই সংযোগ স্থাপন করতে হবে। এপিআই সংযোগ স্থাপনের সময়সীমা আগামী ২৯ মে তারিখ নির্ধারণ করা যেতে পারে।
সিদ্ধান্তগুলো একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অবহিত করার কথাও অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে।
দেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানর কাজ করছে এরমধ্যে বিকাশ- ব্রাক ব্যাংক, নগদ - ডাক বিভাগ, রকেট - ডাচ-বাংলা ব্যাংক, এম ক্যাশ - ইসলামী ব্যাংক, শিওর ক্যাশ - রূপালি ব্যাংক, রেডি-ক্যাশ - জনতা ব্যাংক, টি-ক্যাশ - ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউ ক্যাশ- বর্তমানে উপায়- ইউসিবি ব্যাংক এবং মাই ক্যাশ।
জানা গেছে, মোবাইল র্যাংকিংয়ের বিদ্যমান ব্যবস্থার আওতায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ অর্থ লেনদেনের সেবা নিচ্ছে। কিন্তু এ সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর চার্জ এবং সেবার মান এবং গ্রাহক হয়রানির বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকার গ্রাহকসেবা এবং নির্ঝঞ্জাট সেবা নিশ্চিত করতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য শ আউট চ র জ ব তরণ র ক ষ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন কত টাকা পাবে, সপ্তম হওয়া বাংলাদেশ পেয়েছে কত
৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে আজ। নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ট্রফির জন্য লড়বে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের জন্যই প্রথমবার শিরোপা জয়ের সুযোগ এটি। তবে ট্রফির পাশাপাশি অর্থের হাতছানিও কম নয়।
বিশ্বকাপ জিতলে ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হওয়া দলের প্রাপ্তি চ্যাম্পিয়নের ঠিক অর্ধেক—২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। দুই ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে কারা কত পায়, সেটি জানতে তাই ফাইনালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাকি ৬ দলের কারা কত পাচ্ছে, সেই হিসাব এরই মধ্যে সম্পন্ন।
এবারের নারী বিশ্বকাপে মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার রেখেছে আইসিসি, যা ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসরে ছিল মাত্র ৩৫ লাখ ডলার। এমনকি ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ছেলেদের বিশ্বকাপেও মোট প্রাইজমানি ছিল কম—১ কোটি ডলার।
রেকর্ড অর্থ পুরস্কারের কারণে প্রতিটি দলের প্রাপ্তিও বেড়েছে। পুরস্কারগুলো মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে অংশগ্রহণ, টুর্নামেন্টে অবস্থান এবং জয়সংখ্যা। এর মধ্যে প্রথমটি সবার জন্যই সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশ যা পাবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলও তা-ই পাবে। এই খাত থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে আড়াই লাখ ডলার।
আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কেমন খেলল বাংলাদেশের মেয়েরা২৭ অক্টোবর ২০২৫টুর্নামেন্টে অবস্থানের ভিত্তিতে যে অর্থ, সেখানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের অর্থের পরিমাণ তো আগেই বলা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী অন্য ৬ দলের মধ্যে দুই সেমিফাইনালিস্ট ১১.২০ লাখ ডলার করে, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে দুই দল ৭ লাখ ডলার করে আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দুই দল ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে পাচ্ছে। বাংলাদেশ লিগ পর্বের খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হয়েছে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২.৮০ লাখ ডলার।
তৃতীয় খাত জয়ের সংখ্যায়। বাংলাদেশ দল ৭ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে একটিতে—পাকিস্তানের বিপক্ষে। এখান থেকে জয় বাবদ ৩৪ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ বাবদ আড়াই লাখ, সপ্তম হিসেবে ২.৮০ লাখ এবং এক জয় বাবদ ৩৪৩১৪ ডলার মিলিয়ে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার পাচ্ছে, যা বর্তমান মুদ্রাবাজার অনুসারে (১ ডলার= ১২২.৩২ টাকা ধরে) বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
আরও পড়ুননারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়ল চার গুণ, কোন দল কত টাকা পাবে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫