সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা ও অন্যান্য নগদ সহায়তা জিটুপি (গভমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে বিতরণের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জ ০.৭০ শতাংশ থেকে ০.৬০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা উপকারভোগী নিজেই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক নির্বাচন করতে পারবেন।

সম্প্রতি অর্থ বিভাগের সচিব ড.

মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের পাঠানো এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা ও অন্যান্য নগদ সহায়তা জিটুপি পদ্ধতিতে বিতরণে বিদ্যমান ক্যাশ আউট চার্জ ০.৭০ শতাংশ যৌক্তিক পর্যায়ে হাসের প্রস্তাব করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) এর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ জিটুপি পদ্ধতিতে বিতরণের বিষয়ে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত  হয়। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে-

(ক) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে উপকারভোগী নিজে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান/ব্যাংক নির্বাচন করবে। এক্ষেত্রে বিতরণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার কোন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান/ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া সমীচীন হবে না।

(খ) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিতরণের জন্য অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ ০.৬০ (শূন্য দশমিক ছয়) শতাংশ নির্ধারণ করা যেতে পারে। এ হার অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে ইতঃপূর্বে সম্পাদিত চুক্তির ক্ষেত্রে এ হার ২০২৫ সালের ১ জুলাই  থেকে কার্যকর করা যেতে পারে।

(গ) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিতরণের ক্ষেত্রে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা এ অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ অনুসরণ করবে।

(ঘ) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ ক্যাশ আউট চার্জসহ একসঙ্গে প্রেরণ করা সমীচীন হবে। নগদ অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান/ব্যাংক উপকারভোগীর ওপর কোনোরূপ চার্জ আরোপ করতে পারবে না এবং ইএফটি রিটার্নের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জসহ সরকারকে ফেরত প্রদান করতে হবে। এবং

উপকারভোগীর কাছে প্রেরিত ইএফটি’র রিয়াল টাইম ট্রাকিং এর জন্য অর্থ বিভাগের সিঙ্গেল রেজিষ্ট্রি সিস্টেম এর সঙ্গে প্রত্যেক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের এপিআই সংযোগ স্থাপন করতে হবে। এপিআই সংযোগ স্থাপনের সময়সীমা আগামী ২৯ মে  তারিখ নির্ধারণ করা যেতে পারে।

সিদ্ধান্তগুলো একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অবহিত করার কথাও অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে।  

দেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানর কাজ করছে এরমধ্যে  বিকাশ- ব্রাক ব্যাংক, নগদ - ডাক বিভাগ, রকেট - ডাচ-বাংলা ব্যাংক, এম ক্যাশ - ইসলামী ব্যাংক, শিওর ক্যাশ - রূপালি ব্যাংক, রেডি-ক্যাশ - জনতা ব্যাংক, টি-ক্যাশ - ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউ ক্যাশ- বর্তমানে উপায়- ইউসিবি ব্যাংক এবং মাই ক্যাশ।

জানা গেছে, মোবাইল র‍্যাংকিংয়ের বিদ্যমান ব্যবস্থার আওতায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ অর্থ লেনদেনের সেবা নিচ্ছে। কিন্তু এ সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর চার্জ এবং সেবার মান এবং গ্রাহক হয়রানির বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকার গ্রাহকসেবা এবং নির্ঝঞ্জাট সেবা নিশ্চিত করতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ঢাকা/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য শ আউট চ র জ ব তরণ র ক ষ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আইসিসিআর বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫৫০ শিক্ষার্থী পেলেন বিদায় সংবর্ধনা

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) বৃত্তি ২০২৫-এর জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের বিদায় জানাতে সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভারতীয় হাইকমিশনের এক বার্তায় জানানো হয়, এ বছর সারা বাংলাদেশ থেকে ৫৫০ জন শিক্ষার্থী এই মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বিদায় অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই বৃত্তি শিক্ষার্থীদের শুধু ব্যক্তিগত পেশাগত উন্নয়নই নয়, ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক কেবল কূটনৈতিক নয়, এটি গড়ে উঠেছে আমাদের অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যৌথ ত্যাগের ভিত্তিতে। এই বৃত্তি কর্মসূচির মাধ্যমে সেই বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ৪ ঘণ্টা আগে

আইসিসিআর বৃত্তি হলো ভারত সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি, যার মাধ্যমে মেধাবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে থাকেন।

আরও পড়ুনজার্মানির ডাড স্কলারশিপে স্নাতকোত্তর, মাসে ৯৯২ ইউরোর সঙ্গে বিমান টিকিট-বাড়িভাড়াসহ নানা সুবিধা২৮ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১ আগস্ট ২০২৫)
  • সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাণিজ্য-বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে: ঢাকা চেম্বার
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে নির্দেশনা মাউশির, কে কত টাকা পাবেন
  • বাটা সু’র মুনাফা কমেছে ২৬.৮৪ শতাংশ
  • বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
  • ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল করতে চান উমামা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩১ জুলাই ২০২৫)
  • ঢাকা সিটি কলেজে একাদশে ভর্তি, জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩০ জুলাই ২০২৫)
  • আইসিসিআর বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫৫০ শিক্ষার্থী পেলেন বিদায় সংবর্ধনা