অপহরণের সাত দিন পর পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তি পাওয়া আনন্দের খবরই বটে।

অতীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক অপহরণের ঘটনা ঘটলেও এই প্রথম শিক্ষার্থীরা এর লক্ষ্যবস্তু হলেন। অপহরণের শিকার পাঁচজনই ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পাহাড়ে বৈসাবি উৎসবে অংশ নিতে তঁারা গিয়েছিলেন রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে। 

পাঁচ শিক্ষার্থীর অপহরণে তাঁদের সহপাঠী–স্বজনেরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। উদ্বিগ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও। এমন একটি সময়ে এই পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়, যখন পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ বৈসাবি উৎসবে ব্যস্ত। 

পাঁচ শিক্ষার্থীর অপহরণের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। আন্দোলন করেছেন তিন পার্বত্য জেলার সর্বস্তরের মানুষ। এমনকি ঢাকায়ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মানববন্ধন করেছে। 

অনেক উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার পর বুধবারই জানা গেল অপহরণকারীরা সাত দিনের মাথায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিয়েছেন। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের একজন নেতার সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, পিসিপি সদস্য রিশন চাকমাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছেন। অর্থাৎ একবার তাঁদের ছাড়েননি। তাঁরা মা–বাবার কাছে এখন সুস্থ আছেন। তবে ট্রমা কাটেনি।

 সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিজু উৎসব উদ্‌যাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাঁদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাতনামা স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র রিশন চাকমা, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপহরণকারীরা চালককে ওই সময় ছেড়ে দিয়েছিলেন।

পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় শুরু থেকে ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছে জেএসএস–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। যদিও ইউপিডিএফ অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। 

এর আগে গত বছর ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা বাজারে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করেছিল কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এএনএফ) নামের একটি সংগঠন। ২০২২ সালে বম জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে গঠিত এই সংগঠনের কার্যক্রম বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ি এলাকায় সীমিত। 

কেএনএফের সশস্ত্র দল রাতে ব্যাংকে হামলা চালায় এবং ব্যাংকের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জিম্মি করে। এরপর পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে দুটি সাবমেশিনগানসহ (এসএমজি) ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করেন কেএনএফের সদস্যরা। তাঁর মুক্তির জন্য ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ৪৮ ঘণ্টা পর মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে। ওই ঘটনার পর কেএনএফ অনেকটা নিষ্ক্রিয়। এর সঙ্গে ভূরাজনীতির সম্পর্কও থাকতে পারে। 

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে এই অঞ্চলে বিদেশি নাগরিক ও বিভিন্ন দেশি–বিদেশি সংস্থার কর্মীদের অপহরণের ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও ফলাও করে প্রচার হয়েছে। তাঁদের উদ্ধারে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহৃতরা ছাড়াও পেয়েছেন। এবার কারা অপহরণ করেছে, কত টাকা মুক্তিপণ নিয়েছে, পরিষ্কার নয়। তবে ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। 

২০০১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির নানিয়ারচরে অপহৃত হন ডেনমার্কের উন্নয়ন সংস্থা ড্যানিডার তিন কর্মকর্তা। ১৯৮৪ সালে শেলের ছয় কর্মকর্তাকে অপহরণ করা হয় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি এলাকা থেকে। ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি টেলিটকের পাঁচ কর্মী অপহৃত হয়েছিলেন। এসব ঘটনায় অপহৃতরা ফেরত এলেও ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অপহৃত কল্পনা চাকমা আর ফেরত আসেননি।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি সই হওয়ার আগপর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে একমাত্র আঞ্চলিক দল ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি—সংক্ষেপে জেএসএস। কিন্তু ১৯৯৮ সালে চুক্তির বিরোধিতা করে নতুন সংগঠন গঠিত হয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নামে। পরে জেএসএস ও ইউপিডিএফ দুটোই ভাগ হয়ে যায়। জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস মনে করে, পাহাড়ি সংগঠনগুলোর বিভক্তির পেছনে ‘অদৃশ্য শক্তির’ হাত আছে। যারা সেখানে অস্থিতিশীল অবস্থা জিইয়ে রাখতে চায়, তারাই চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না এবং একের পর এক অঘটন ঘটাচ্ছে।  

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেপ্টেম্বরে পাহাড়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খাগড়াছড়িতে চোর সন্দেহে পিটুনিতে এক বাঙালি যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। ওই সময় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটে এবং তিন পাহাড়ি মারা যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের চারজন উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনো ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি। এ নিয়ে পাহাড়িদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। 

জেএসএস নেতাদের দাবি, পার্বত্য চুক্তির মূল কথা ছিল, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকবে। চুক্তি অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদ সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়। তিন জেলা পরিষদ গঠন করা হয়। কিন্তু গত ২৮ বছরেও কোনো নির্বাচন হয়নি।

পার্বত্য চুক্তির বার্ষিকীতে আমরা দুই পক্ষের বিপরীতমুখী বক্তব্য শুনি। সরকারের দাবি পার্বত্য চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫টি ধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু জনসংহতি সমিতির দাবি, ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র ২৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। ১৮টি ধারার আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। 

পাহাড়ের অন্যতম সমস্যা ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ২০০১ সালে গঠন করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন। এ পর্যন্ত ছয়বার কমিশনের চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেও ভূমি বিরোধ সমস্যা সমাধানে কোনো সফলতা আসেনি। তিন পার্বত্য জেলা থেকে ভূমি বিরোধ নিয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায় ২২ হাজার দরখাস্ত জমা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব আবেদনের সুরাহা করা হয়নি। এমনকি কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি বৈঠকও করতে পারেনি স্থানীয় কিছু বাঙালি সংগঠনের বিরোধিতার কারণে। 

গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরও সক্রিয় ভূমিকা ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দারা ভেবেছিলেন, সেখানকার আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য দূর করতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু সেটি নেওয়া হয়নি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটি গ্রাফিতিতে ‘আদিবাসী’ কথা লেখা ছিল। পরে সেটি পাঠ্যবইয়েও স্থান পায়। কিন্তু বই প্রকাশের কয়েক দিন পর অজ্ঞাত কারণে সেই গ্রাফিতি তুলে নেওয়া হয়।  

পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাময়িক স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু সেই স্বস্তি স্থায়ী শান্তিতে রূপ নিতে পারে তখনই, যখন পার্বত্য চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে। সেখানে ভূমি ও পাহাড় দখল বন্ধ হবে। পাহাড়িরাও দেশের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মতো সম–অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারবে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে সেই চাওয়া কি অন্যায্য হবে? 

সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি

[email protected]

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জনগ ষ ঠ র অপহরণ র র সদস য জ এসএস ত র পর ইউপ ড র ঘটন স গঠন অপহ ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ হচ্ছে

দ্বাদশ সংসদের ২৬১ আসনের সীমানা বহাল রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৯টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন করে নতুন সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তবে প্রস্তাবিত আসন নিয়ে ১০ অগাস্টের মধ্যে দাবি-আপত্তি জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। 

এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৩টি আসন রয়েছে। আসনগুলো হচ্ছে- নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫ আসন। সীমানা পুনর্র্নিধারণ খসড়া করার পর নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫ সংসদীয় আসনগুলো হচ্ছে নিন্মরূপ : 

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন :

এ আসনে সোনারগাঁও উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে। সেগুলো হলো: কাঁচপুর,  সাদিপুর,  জামপুর, সনমান্দী, নোয়াগাঁও, বারদী, বৈদ্যের বাজার, শম্ভুপুরা,
পিরোজপুর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন।
 
এছাড়াও বন্দর উপজেলার মোট পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এগুলো হলো: কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ এবং
মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন :

এ আসনে থাকছে সদর উপজেলার মোট ৭ টি ইউনিয়ন। সেগুলো হলো- ফতুল্লা, এনায়েতপুর, বক্তাবলী, কাশিপুর, কুতুবপুর, গোগনগর, আলীরটেক। 

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন : 
 
এ আসনে আসছে সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড । ওয়ার্ডগুলোর এলাকা হলো- 
 
১ নং ওয়ার্ডের আওতায় রয়েছে পাইনাদী পূর্ব অংশ ও মিজমিজি বাতানপাড়া (আংশিক)
 
২ নং ওয়ার্ডে রয়েছে পাইনাদী পূর্ব অংশ ও মিজমিজি বাতানপাড়া
 
৩ নং ওয়ার্ডে রয়েছে নিমাইকাশারী, নয়াআটি, বাঘমারা, সানারপাড়।
 
৪ নং ওয়ার্ডে রয়েছে শিমরাইল, আটি, উত্তর আজীবপুর (উত্তর অংশ), উত্তর আজীবপুর (দক্ষিণ অংশ)।
 
৫ নং ওয়ার্ডে রয়েছে আজীবপুর দক্ষিণ, সিদ্ধিরগঞ্জ কলাবাগান পূর্ব, সিদ্ধিরগঞ্জ কলাবাগান পশ্চিম, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো।
 
৬ নং ওয়ার্ডে রয়েছে সুমিলপাড়া (সকল), আদমজী ইপিজেড, সোনামিয়া বাজার, বাগপাড়া, মন্ডলপাড়া।
 
৭ নং ওয়ার্ডে রয়েছে কদমতলী উত্তর, কদমতলী দক্ষিন, নয়াপাড়া
 
৮ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ভূইয়াপাড়া, আরামবাগ, বাড়ৈপাড়া, তাঁতখানা, সৈয়দপাড়া, আইলপাড়া, এনায়েতনগর, ধনকুন্ডা
 
৯ নং ওয়ার্ডে রয়েছে জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া, জালকুড়ি মাঝ পাড়া, জালকুড়ি উত্তর পাড়া
 
১০ নং ওয়ার্ডে রয়েছে বাগপাড়া, ২ নং ঢাকেশ্বরী কটন মিলস, আরামবাগ, রসুলবাগ, মীরপাড়া, চিত্তরঞ্জন কটন মিল এলাকা, আজিম মার্কেট, কো-অপারেটিভ, পাঠানটুলী ওয়াটার ওয়ার্কস সড়কের অংশ বিশেষ যা আজিম মার্কেটের খাল হতে এসিআই এর উত্তর পার্শ্ব পর‌্যন্ত।
 
১১ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ওয়াটার ওয়ার্কস রোড বিআইডাব্লিউটিসি অংশ, খন্দকার পাড়া, নিউ হাজীগঞ্জ রোড, এসিআই, ঈশা খান রোড, হাজীগঞ্জ,তল্লা,নগর খানপুর (মোকরবা রোড), খানপুর ব্রাঞ্চ রোড (সরদার পাড়া অংশ)।
 
১২ নং ওয়ার্ডে রয়েছে সরদার পাড়া অংশ,মজিদ খানপুর, নিউ খানপুর (ব্যাংক কলোনী), ইসদাইর, মিশন পাড়া উত্তর চাষাড়া ।
 
১৩ নং ওয়ার্ডে রয়েছে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট, আমলাপাড়া, মাছুয়াপাড়া, কলেজ রোড, আল্লামা ইকবাল রোড, নবাব সলিমুল্লাহ রোড, কালীরবাজার, ডি এন রোড (হোল্ডিং নং-৯৮ হতে ১৩৫ পর‌্যন্ত)
 
১৪ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ডি এন রোড, নন্দী পাড়া, দেওভোগ ওয়েস্ট রোড, শের-এ বাংলা রোড, জিয়শ ট্যাংক রোড, বঙ্গবন্ধু রোডের পশ্চিমাংশ (উকিল পাড়া)
 
১৫ নং ওয়ার্ডে রয়েছে পুরাতন কোর্ট এলাকা, দ্বিগুবাবুর বাজার, টি এন টি অফিস, মীরজুমলা রোড, সনাতন পাল লেন, চেম্বার রোড, টানবাজার এলাকা, কুটিপাড়া, আর কে মিত্র রোড, বংশাল রোড, বি দাস রোড, আর কে দাস রোড, নতুন জিমখানা, বঙ্গবন্ধু রোড, ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল, নগর ভবন, মন্ডলপাড়া।
 
১৬ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ১ নং বাবুরাইল, ২ নং বাবুরাইল দেওভোগ পাক্কা রোড, এল. এন. এ রোড শের-এ বাংলা রোড, পুরাতন জিমখানা।
 
১৭ নং ওয়ার্ডে রয়েছে পাইকপাড়া, নয়াপাড়া, আমহাট্টা, ভূঁইয়া পাড়া, শাহসুজা রোড, পাইকপাড়া খেলার মাঠ।
 
১৮ নং ওয়ার্ডে রয়েছে বি কে রোড, জমিদারী কাচারী গল্লী, নলুয়া রোড, তোলারাম সড়ক, সুলতান গিয়াস উদ্দিন রোড (তামাক পট্টি ও কদমতলী), গোপচর, শহীদনগর ডিয়ারা।
 
১৯ নং ওয়ার্ডে রয়েছে লক্ষারচর, শান্তিনগর (উত্তরাংশ), এম এন ঘোষাল রোড, ইসলামপুর রোড, পি এম রোড, ফরাজীকান্দা (দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ)।
 
২০ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ফরাজীকান্দা (উত্তরাংশ), কেএনসেন রোড (মাহমুদ নগর), কেএনসেন রোড (ডক ইয়ার্ড দক্ষিণাংশ), সোনাবিবি রোড (বেপারীপাড়া, সোনাকান্দা), দড়ি সোনাকান্দা, হাজীপুর (পশ্চিমাংশ)
 
২১ নং ওয়ার্ডে রয়েছে দত্তপাড়া (দক্ষিণাংশ), বাংলাদেশ পাড়া (দক্ষিণাংশ), শাহী মসজিদবাড়ী, সালেহনগর, কেএনসেন রোড (ডক ইয়ার্ড উত্তরাংশ), সোনাবিবি রোড (এনায়েতনগর, চৌধুরীপাড়া, নোয়াদ্দা), এসএস সাহা রোড (দক্ষিণাংশ)।
 
২২ নং ওয়ার্ডে রয়েছে দত্তপাড়া (উত্তরাংশ), বাংলাদেশ পাড়া (উত্তরাংশ), কোটপাড়া, বন্দর ঠাকুরবাড়ি, বন্দর কলোনী, স্বল্পের চক (দক্ষিণাংশ), এসএস সাহা রোড (উত্তর-পূর্বাংশ), এইচএম সেন রোড, উইলসন রোড (দক্ষিণাংশ)।
 
২৩ নং ওয়ার্ডে রয়েছে স্বল্পের চক (উত্তরাংশ), উইলসন রোড (উত্তরাংশ), একরামপুর, নবীগঞ্জ (দক্ষিণাংশ), কদমরসুল রোড, গোলাম আসাদ রোড (দক্ষিণাংশ)।
 
২৪ নং ওয়ার্ডে রয়েছে নবীগঞ্জ (উত্তরাংশ), টি হোসেন রোড (নবীগঞ্জ), শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ রোড, গোলাম আসাদ রোড (উত্তরাংশ), বক্তারকান্দি দেউলী চৌড়াপাড়া (দক্ষিণাংশ), দেউলী চৌড়াপাড়া (দক্ষিণাংশ), বন্দর নোয়াদ্দা, উত্তর নোয়াদ্দা, কাইতাখালি, আমিরাবাদ।
 
২৫ নং ওয়ার্ডে রয়েছে চৌড়াপাড়া (উত্তরাংশ), দেউলী চৌড়াপাড়া (উত্তরাংশ), দাসের গাঁও (পশ্চিমাংশ), লক্ষণখোলা (দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ)।
 
২৬ নং ওয়ার্ডে রয়েছে লক্ষণখোলা রোড (উত্তর-পশ্চিমাংশ), রামনগর , সোনাচরা , সোনাচরা বাগ, ইস্পাহানি ডকইয়ার্ড, কুটির বৃন্ধ, কুড়িপাড়া (খালপাড়)।
 
২৭ নং ওয়ার্ডে রয়েছে কুড়িপাড়া, চাপাতলী, লালখার বাগ, নাজিরগঞ্জ, বঙ্গ শাসন, মুরাদপুর, হরিপুর, ফুলহর (পশ্চিমাংশ)।
 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ হচ্ছে