এবারের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় এম রাহিম পরিচালিত সিনেমা ‘জংলি’। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই হাউজফুল যাচ্ছিল সিনেমাটির শো। তবে শো কম থাকায় অনেকে সিনেপ্লেক্সে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরেও গেছেন। দর্শকচাপে সিনেপ্লেক্সে শো বাড়তে থাকে। শুধু তা–ই নয় সিঙ্গেল স্ক্রিনেও সিনেমাটি দর্শকেরা পছন্দ করেন।

গত ৫ এপ্রিল থেকে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। দেশের মতোই বিদেশেও প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি। ২৬তম দিনে এসে সিনেমাটি গড়েছে রেকর্ড। এখন পর্যন্ত দিন হিসেবে ‘জংলি’র সর্বোচ্চ গ্রস আয়ের রেকর্ড হয়েছে এ দিনে।

এদিন বিশ্বব্যাপী ‘জংলি’ আয় করে ৩৫ লাখ ১১ হাজার টাকা; যা এখন পর্যন্ত এক দিনে সিনেমাটির সর্বোচ্চ গ্রস আয়। খবরটি জানিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে অভিনেতা সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘আট বছরের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধা—সবাই যখন একটা সিনেমাকে আপন করে নেয়, তখন এ রকম ম্যাজিক্যাল কিছুই ঘটতে বাধ্য। মুক্তির ২৬তম দিনে সব মিলিয়ে “জংলি”র গ্রস কালেকশন প্রায় ৩৫.

১১ লাখ টাকা! একদিনে এটাই “জংলি”র সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। সিয়াম মনে করছেন দর্শকের এ ভালোবাসায়, “জংলি” সিনেমা ফ্যামিলি ব্লকবাস্টারের তকমা পেতে চলেছে।

এম রহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমায় সিয়াম ছাড়াও অনান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন—বুবলী, দীঘি, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ। টাইগার মিডিয়া প্রযোজিত ‘জংলি’ সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে—মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ ব বল র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ