আসছে ওমকার ব্যান্ডের দ্বিতীয় গান ‘বৃশ্চিক’
Published: 27th, April 2025 GMT
প্রথম অ্যালবাম ‘অমৃতের সন্তান’ প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিলেন বেশ কিছুদিন আগে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী গানের প্রকাশনাও শুরু করে দিয়েছেন ওমকার ব্যান্ডের সদস্যরা, যার সুবাদে এবার আসছে ওমকারের দ্বিতীয় গান ‘বৃশ্চিক’। এর কথা লেখার পাশাপাশি সুর করছেন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
এই শিল্পীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে গানের সংগীতায়োজন করেছেন ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট মারুফ আহমেদ সামি, বেইজ গিটারিস্ট জাকির হাসান রানা, পিয়ানো ও কি-বোর্ডিস্ট সামিত মাঞ্জুর ও ড্রামার রুবেল হাসান। আগামী সপ্তাহে ব্যান্ডের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে গানটি প্রকাশ করা হবে বলে ওমকার সদস্যরা জানান।
এদিকে গত মার্চে প্রকাশিত অ্যালবামের প্রথম গান ‘ধুলোর অস্পষ্ট হাত’ অনেক সংগীতবোদ্ধার প্রশংসা কুড়িয়েছে। একই সঙ্গে নতুন আয়োজনের প্রত্যাশাও তৈরি করেছে শ্রোতাদের মাঝে। সেই সব সংগীত অনুরাগীর কথা ভেবেই প্রতি সপ্তাহে একটি করে গান প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওমকার সদস্যরা। তারা জানান, একটি থিম নিয়ে ‘অমৃতের সন্তান’ অ্যালবামের আয়োজন। যেখানে থাকছে ভিন্ন ধাঁচের ১০টি গান। এরই মধ্যে সব গানের রেকর্ডিং শেষ হয়েছে। এখন গানগুলো প্রকাশের পালা।
‘বৃশ্চিক’-এর পর বাকি গানগুলো প্রতি সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। সব শেষে অ্যালবামের একটি স্মারক প্রকাশের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নত ন গ ন
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপির উদ্বেগ আদালত অবমাননার শামিল: ইশরাক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ নিয়ে ইশরাক হোসেনের মামলা, রায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৎপরতা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টিকে আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, এনসিপি আইনের ব্যাখ্যা এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে অবমাননা করেছে।
বুধবার রাতে এক প্রতিবাদলিপিতে ইশরাক হোসেনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। এর আগে গতকাল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিল এনসিপি।
দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়া নিয়ে এনসিপির উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করে ইশরাক হোসেনের পক্ষে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে তাঁর আইনজীবী বলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কারণ নিয়ে এনসিপির বক্তব্য একেবারেই শিশুসুলভ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেকোনো মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির বিজ্ঞ আদালতের একটি সহজাত ক্ষমতা। তা ছাড়া ২০২০ সালে দায়ের করা মামলাটি ২০২৫ সালে নিষ্পত্তি হয়েছে। এটি দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, যা মোটেও সংক্ষিপ্ত সময় নয়; বরং মোকদ্দমাটি আরও আগেই নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল।
নির্বাচনী মামলার নিষ্পত্তি সংক্ষিপ্ত সময়ে হওয়া উচিত উল্লেখ করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এনসিপির এ জাতীয় বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছে, তার সম্পূর্ণ আইনি অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। মামলার তদবিরকারক বাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী যে কেউ হতে পারে বিধায় বিজ্ঞ আদালত হলফনামা গ্রহণ করেছেন, যা সম্পূর্ণ আইন মেনেই করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত কোনো প্রকার বিচার-বিশ্লেষণ করেননি বলে যে বক্তব্য এনসিপি দিয়েছে, তা এককথায় তাদের জ্ঞানের স্বল্পতারই বহিঃপ্রকাশ এবং আদালত অবমাননার শামিল।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আদালত যথাযথ আইন মেনেই রায় প্রদান করেন। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যায়বিচার হয়নি বলে মনে করে, তাহলে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে এবং তার বক্তব্য ওই উচ্চ আদালতে রাখারও সুযোগ আছে। এভাবে প্রেসনোট দিয়ে বক্তব্য প্রদান দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়।’
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতার ইশরাক হোসেনকে গত ২৭ মার্চ মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এর এক মাস পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পর এটি বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই মন্ত্রণালয় থেকে শপথ গ্রহণের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। তবে কবে নাগাদ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে, সে বিষয়টি নিয়ে এখন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১৫ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।