বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ, সাধারণ সম্পাদক শিমুল
Published: 27th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিল অধিবেশনে তামজিদ হায়দারকে সভাপতি, শিমুল কুম্ভকারকে সাধারণ সম্পাদক ও রথীন্দ্রনাথ বাপ্পীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪১সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ১৪১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় পরিষদ নির্বাচিত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে শনিবার রাতে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন সমাপ্ত হয়। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন রাগীব নাঈম।
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাজিফা জান্নাত, অমর্ত্য রায়, মাঈন আহমেদ, আসিফ জামান, মনীষা ওয়াহিদ, সুজয় সরকার, মৈত্রেয় হাসান জয়িতা ও বায়েজিদ রহমান।
সহকারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী ও তানজিমুর রহমান রাফি।
কাউন্সিলে মধুসূদন কর্মকার কোষাধ্যক্ষ, আমিনুল ইসলাম ইমন দপ্তর সম্পাদক, মেঘমল্লার বসু শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, একরামুল হক জিহাদ স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, অন্তু অরিন্দম বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, দূর্জয় রায় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, অর্ণি আনজুম সাংস্কৃতিক সম্পাদক, তাবিব মাহমুদ ক্রীড়া সম্পাদক এবং তিলোত্তমা ইতি সমাজকল্যাণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- রাগীব নাঈম, রাকিবুল রনি, মাশরুখ জলিল, নিরব সরকার সাম্য, ঐশ্বর্য সরকার, ইমন আকন্দ, ইমদাদ মোহাম্মদ, শোভন প্রান্ত, তৌকির ইসলাম, রিদওয়ান পর্ব, সজীব নগর, আবু সাঈদ, জান্নাতুল নাঈম, রাকিব হোসেন ও জয় ভৌমিক। কেন্দ্রীয় কমিটির ৪টি পদ শূন্য আছে।
সম্মেলনের শেষ দিন শনিবার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ‘ঐতিহ্যের পদাবলী’ শীর্ষক বাউল গান অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে মধ্য রাত পর্যন্ত চলা এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ থেকে বাউল সুনীল কর্ম্মকার, মাগুরার বিমল দাস বাউল, সুনামগঞ্জের দুখু মিয়া, ফরিদপুরের জাফর ইকবাল আকাশ, নরসিংদীর শেখ সাদি, ব্রাহ্মণবারিয়ার মারুফ মৃণ্ময় ও ঢাকার সৌরভ আকন্দসহ বাউল শিল্পীগণ অংশগ্রহণ করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ন র ব চ ত হয় ছ ন ক ন দ র য় কম ট
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস
স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’
সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
অনাহারে মৃত্যু ১৫৪গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।
গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।
ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।
বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।
গাজায় স্টিভ উইটকফশুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।