ছাত্রলীগ নেতাকে ‘৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ’ দিয়ে বাড়ি ফিরলেন অপহরণের শিকার ব্যবসায়ী
Published: 27th, April 2025 GMT
রূপগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা রায়হান এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বাড়ি ফিরেছেন ওই ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম মহিউদ্দিন বাবলু। তিনি উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নাগেরবাগ এলাকায় ইট, বালুর ব্যবসা করে আসছেন। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নাগেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রায়হান উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ ক্রীড়া সম্পাদক ও বর্তমানে তিনি স্থানীয় বিএনপির শুটার রিয়াজ বাহিনীর হয়ে কাজ করছেন।
এদিকে এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর বড় ভাই সালাউদ্দিন বাদল বাদি হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন।
সালাউদ্দিন বাদল বলেন, আমার ভাই মহিউদ্দিন বাবলু গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নাগেরবাগ এলাকায় ইট, বালুর ব্যবসা করে আসছেন। বেশ কিছুদিন যাবত একই এলাকার রায়হান ছোট ভাইয়ের কাছে থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছিল।
দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে গত শনিবার দুপুরে রায়হানসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন মিলে ৬ টা মোটরসাইকেল করে আমার ভাইকে অজ্ঞাতস্থানে তুলে নিয়ে যায়। পরে আমার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পরে তাদের লোকের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে আমার ভাই মহিউদ্দিন বাবলুকে ফেরত দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রায়হানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ অপহরণ ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।