ঈদের আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে স্যানমার প্রোপার্টিজের আয়োজনে চট্টগ্রামে চলছে ‘স্যানমার ঈদ ফেস্টিভ্যাল’। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী এই উৎসব শেষ হচ্ছে আজ রোববার। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া উৎসব চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

স্যানমার গ্রিন পার্কের বায়েজিদ লিংক রোডে অবস্থিত মার্কেটিং স্যুটে আয়োজিত ফেস্টিভ্যালে শিশুদের জন্য আর্ট কম্পিটিশন, বায়োস্কোপ ও ম্যাজিক শো এবং বড়দের জন্য ছিল দেশীয় খাবারের সমাহার ও পারিবারিক বিনোদনের সুযোগসহ নানা আয়োজন।

আধুনিক নগরজীবনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে স্যানমার প্রোপার্টিজ এই বিশেষ আয়োজন করেছে তাদের অন্যতম প্রকল্প ‘স্যানমার গ্রিন পার্ক’কে ঘিরে। এ ছাড়া থাকছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অভিজাত লোকেশনে আবাসিক ফ্ল্যাট, আধুনিক শপিং মলে দোকান ও কমার্শিয়াল স্পেস।

ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এই বর্ণিল উৎসবে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে স্যানমার গ্রিন পার্কের একেবারে নতুন রূপ। প্রকল্পটির এক্সটেরিয়র ডিজাইনে এসেছে বিশ্বমানের পরিবর্তন। প্রকল্পটিকে আরও দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক করে তুলেছে খোলা জায়গা, সবুজ চারপাশ, স্মার্ট লিভিংয়ের ব্যবস্থা ও নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী।

স্যানমার গ্রিন পার্ক বর্তমানে আধুনিক নগরজীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আবারও জমজমাট চাঁদপুর লঞ্চঘাট, দিনে পারাপার অর্ধ লক্ষ যাত্রী
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
  • দেড়শ বছর টিকে আছে বালিকান্দি চামড়ার হাট