পপতারকা জাস্টিন বিবার তার নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন। মার্কিন একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অ্যালবামের কাজ শেষ করতে বিবার শিগগিরই ইউরোপের উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি দেশে ভ্রমণ করবেন।

বিবার বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের নিজস্ব বাড়িতে অ্যালবামটির ‘জ্যাম সেশন’ করছেন। এসব জ্যামিংয়ে প্রতিনিয়ত অংশ নিচ্ছেন ডিজে টে জেমস, হার্ভ, কার্টার ল্যাং, এডি বেঞ্জামিন এবং যুক্তরাজ্যের গায়ক-গীতিকার সেকউর মতো পরিচিত শিল্পীরা।

জানা গেছে, নাম চূড়ান্ত না হওয়া অ্যালবামটির নির্মাণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছেন প্রখ্যাত অডিও প্রযোজক ডিলান উইগিন্স। 

সম্প্রতি বিবার তাঁর দীর্ঘদিনের ম্যানেজার স্কুটার ব্রনকে বাদ দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন নতুন এক দল।

চুক্তি অনুযায়ী ‘ডেফ জ্যাম রেকর্ডস’-এর সঙ্গে বিবারের আরও চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করতে হবে। তাই বিবারের নতুন অ্যালবাম ঘিরে সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে যেমন উন্মাদনা রয়েছে, তেমনি রেকর্ড কোম্পানির পক্ষ থেকেও রয়েছে বাড়তি প্রত্যাশা। কারণ, স্পটিফাইয়ে বিবারের ১৭টি গান ইতোমধ্যে এক বিলিয়নের বেশিবার শোনা হয়েছে এবং বিলবোর্ড টপচার্টে সেরা ১০০ এর মধ্যে বিবারের আটটি গান রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে বলাই যায়, সংগীতের দুনিয়ায় বিবারের নতুন অ্যালবাম যে দারুণ আলোড়ন তুলবে তা এখন থেকেই অনুমান করা যায়। সূত্র: দ্য হলিউড রিপোর্টার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।

অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।

ঋত্বিক ঘটক

সম্পর্কিত নিবন্ধ