কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার শিকার ব্যক্তিরা ন্যায়বিচার পাবেন বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, এই হামলার পেছনে থাকা সন্ত্রাসী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।

আজ রোববার রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ এ কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, পেহেলগামে হামলার ছবিগুলো দেখে প্রত্যেক ভারতীয়র রক্ত ফুটছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ভারতের ১৪০ কোটি নাগরিকের সংহতিই দেশটির সবচেয়ে বড় শক্তি।

পাকিস্তানের প্রতি ইঙ্গিত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেহেলগামে হামলা দেখিয়েছে যে কাশ্মীরে যখন শান্তি ফিরে আসছে এবং স্কুল-কলেজগুলোয় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসছে, তখন সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকেরা কতটা মরিয়া ও কাপুরুষ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুনভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলি৯ ঘণ্টা আগে

কাশ্মীরের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, কাশ্মীরের বিভিন্ন অবকাঠামোর নির্মাণকাজ নজিরবিহীন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হচ্ছিল, পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছিল, মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং তরুণদের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছিল।

তবে ‘দেশের এবং জম্মু ও কাশ্মীরের শত্রুরা এটা মেনে নিতে পারেনি’ বলে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা এবং সন্ত্রাসের পরিকল্পনাকারীরা চায় কাশ্মীর আবার ধ্বংস হোক। আর সে কারণেই তারা এত বড় একটি ষড়যন্ত্র করেছে।’

মোদি বলেন, বিশ্বজুড়ে এই হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক নেতারা তাঁকে ফোন করেছেন, চিঠি লিখেছেন এবং বার্তা পাঠিয়েছেন। সবাই এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গোটা বিশ্ব ১৪০ কোটি ভারতীয়র পাশে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুনপেহেলগাম হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার টিআরএফের, আগের দাবির জন্য দায়ী করল ভারতীয় গোয়েন্দাদের২৬ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনপাকিস্তানি নাগরিকদের খুঁজে ফেরত পাঠাতে সব রাজ্য সরকারকে নির্দেশ অমিত শাহর২৫ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ