কেউ বানাচ্ছে আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে সেতুর আদল। আবার কেউ মেশাচ্ছে সিমেন্ট, বালু আর পানি, আবার কেউ ব্যস্ত কংক্রিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান বের করতে। এর মাধ্যমে কার আদল কত শক্তিশালী পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পাশেই দাঁড়িয়ে এমন দৃশ্য উপভোগ করছেন প্রতিযোগী ও দর্শকরা। এ রকমই নানা আয়োজনে সম্প্রতি জাঁকজমকপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় কংক্রিট উৎসব-২০২৫। প্রথম দিনের সেগমেন্টে ছিল ট্রাস তৈরির প্রতিযোগিতা, যেখানে আইসক্রিমের 
কাঠি দিয়ে বিভিন্ন মডেল তৈরি করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। কেউ বানিয়েছেন সেতুর কাঠামো, কেউ ভবনের। যার মডেল বেশি ওজন নিতে পেরেছে তিনিই বিজয়ী হয়েছেন। দ্বিতীয় দিনে, অর্থাৎ ১২ এপ্রিল আয়োজিত হয় মর্টার ওয়ার্কেবিলিটি কম্পিটিশন। যেখানে সিমেন্ট, বালু ও পানির মিশ্রণে শিক্ষার্থীরা তৈরি করেন মর্টার যা দেয়াল নির্মাণে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এই মর্টারের ঘনত্ব, পরিবেশ দূষণ ও খরচ ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে সেরা দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতাটিতে বিজয়ী হয় চুয়েটের টিম মিক্স উইজার্ড, ২য় ও ৩য় হয় চুয়েটের ট্রাওয়েল টাইটানস ও রিসাইলেন্স। উৎসবের আরেকটি আকর্ষণ ছিল জাতীয় কংক্রিট  সলিউশন প্রতিযোগিতা, যেখানে বিজয়ী হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম, কংক্রিট ক্রাশার, ২য় ও ৩য় হয়েছে বুয়েটের টিম লাইম এক্সকংক্রিট ও কনকর্ডিয়াম। পুরকৌশলীদের আন্তর্জাতিক পেশাজীবী সংগঠন আমেরিকান কংক্রিট ইন্সটিটিউটের (এসিআই) চুয়েট শাখা প্রতিবছরই এমন ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।  এই আয়োজন সম্পর্কে এসিআই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, চুয়েটের সভাপতি জোহায়ের মাহতাব বলেন, চুয়েটে দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজিত হলো জাতীয় কংক্রিট উৎসব। তাই আমরা সবাই অনেক বেশি খুশি ও উৎসাহী ছিলাম। আয়োজক সংগঠনের অনুষদ উপদেষ্টা পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড.

জিএম সাদিকুল ইসলাম বলেন, এ সংগঠনের যাত্রার শুরু থেকে আমরা নিয়মিতই বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। আমেরিকায় যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, অনুরূপভাবে সে রকমই কিছু কার্যক্রম আমাদের সংগঠন থেকে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করার ব্যবস্থা করা হয়। যেমন মর্টারের কম্পিটিশনটা বাংলাদেশে কোথাও হয়নি, কিন্তু আমরা এখানে সেটা করছি। এছাড়া ট্রাস ও কংক্রিট সলিউশনও করা হচ্ছে। আমি মনে করি এগুলো শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও আগ্রহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক