প্রতিভা বিকাশে প্রয়োজন নিয়মিত অনুশীলন
Published: 28th, April 2025 GMT
আবার শুরু হচ্ছে পটুয়াখালী সুহৃদ সমাবেশের বিশেষ কর্মসূচি ‘প্রতিভা অন্বেষণ’। লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারিতে অনুষ্ঠেয় প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার এবারের বিষয় ছিল ‘সংবাদ উপস্থাপনা’।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন জেলা সুহৃদ সদস্য ঈশিতা, দ্বিতীয় সরকারি কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন হোসেন এবং তৃতীয় হয়েছেন সদস্য অহিদুল ইসলাম।
সমকালের জেলা প্রতিনিধি ও জেলা সুহৃদ সমন্বয়ক মুফতী সালাহউদ্দিনের সঞ্চালনায় ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিযোগিতা শেষে জেলা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সুহৃদ উপদেষ্টা কবি ও লেখক গাজী হানিফ, সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ ও সৈয়দ তাজুল ইসলাম, জেলা সুহৃদ যুগ্ম আহ্বায়ক ঐশী রায়, কাজী রফিকুল ইসলাম রাহাত, কলেজ ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারহানা ইয়াছমিন ছন্দা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানসহ সুহৃদরা।
মুফতী সালাহউদ্দিন জানান, চর্চার মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটে। তাই বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে নিয়মিত জ্ঞানচর্চা প্রয়োজন। সবার মধ্যে কোনো না কোনো প্রতিভা লুকায়িত থাকে। সুহৃদদের সৃজনশীল ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে নিয়মিতভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। v
সুহৃদ পটুয়াখালী
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।