ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বন্ধের ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্বেগ
Published: 29th, April 2025 GMT
‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। এর ফলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মনে করে সমিতি। আজ মঙ্গলবার সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সমিতির চেয়ারম্যান মো.
অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনায় শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়া কখনোই কাম্য নয়।
সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যয় অভিভাবকদের কষ্টার্জিত অর্থের ওপর নির্ভরশীল। এখানে সময়ের মূল্য অপরিসীম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন অপরিহার্য; অন্যথায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হয়।’
সমিতি আরও বলেছে, দেশ-বিদেশে ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধের সুনাম সুপ্রতিষ্ঠিত। যেকোনো ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন, শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট, শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ কিংবা প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীদের সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে অধ্যবসায়, শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনইউআইইউর ঘটনা তদন্তে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা প্রকাশ করে, উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধান করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার সহনশীল, আইনানুগ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
আরও পড়ুনইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা২৭ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের২০ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক