আড়াইহাজারে পাওয়ারলুম শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
Published: 29th, April 2025 GMT
আড়াইহাজারে চার দফা দাবিতে স্থানীয় পাওয়ারলুম শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে। প্রথমে স্থানীয় রামচন্দ্রী এলাকা থেকে গোপালদী বাজার পর্যন্ত রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও ইট সহ বিভিন্ন ভারী বস্তুু ফেলে সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজ্জাত হোসেন ও আড়াইহাজার থানার ওসি তদন্ত সাইফ উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা রামচন্দ্রী স্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিলে পরে বিশনন্দী ফেরিঘাট সড়কেও যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়কে বসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় শত শত যানবহন সড়কে আটকা পড়ে। স্থানীয় বিভিন্ন টেক্সাইল মিলের প্রায় ২ হাজারের মতো শ্রমিক অবরোধে অংশ নেয়। এসময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এক পার্যায়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হলে শ্রমিকরা চলে যায়। স্থানীয় ‘আবুল খায়ের টেক্সাইল’ মিলের শ্রমিক কবির হোসেন বলেন, আমরা টেক্সাইল মিলের মালিকদের কাছে চারটি দাবী করেছি; দাবীর মধ্যে রয়েছে, গজ প্রতি গ্রেরে কাপড়ে এক টাকা, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং কোন দুর্ঘটনা ঘটলে মালিক পক্ষ আর্থিক সহযোগিতা ও দুই ঈদে বোনাস ভাতা চালু করতে হবে।
তিনি বলেন, এই দাবীগুলো আমাদের দীর্ঘদিনের। এটি মালিকদের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব। শ্রমিক বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের কর্মস্থলে কোন নিরাপত্তা নেই। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কর্মরত অবস্থায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের নিজেদের অর্থে চিকিৎসা করতে হয়। অনেক শ্রমিক বিনা চিকিৎসায় কষ্ট করে।
শ্রমিক নাহিদ বলেন, দুই ঈদে আমাদের বোনাসের দাবী করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিকদের বোনাস দিয়ে থাকে; আমরা কেন তা পাবোনা।
আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) সাইফদ্দিন বলেন, ‘শ্রমিকদের পক্ষ থেকে চারটি দাবি করা হয়েছে। মালিকদের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদের দাবিগুলো ধাপে ধাপে পূরণ করার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে।’
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আম দ র অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।
এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।
অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।
এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।