সংস্কার কমিশন চান পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা
Published: 29th, April 2025 GMT
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি ভুল পথে হাঁটছে বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা। সেজন্য তারা কমিটির ওপর আর আস্থা রাখতে চাইছেন না। অবিলম্বে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এ দাবি জানান। এদিন থেকে ছয়দফা দাবিতে সারাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে পূর্বঘোষিত 'টানা শাটডাউন' কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ছয়দফা বাস্তবায়নে রূপরেখা তৈরি করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। গত ২৭ এপ্রিল এই কমিটির প্রথম সভার আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয়, আমাদের ছয়দফা বাস্তবায়নে সঠিক পথে হাঁটছে না কমিটি। তারা ভুল পথে যাচ্ছে। সেজন্য আমরা এ কমিটির কার্যক্রমে হতাশ। সরকারের কাছে আমাদের দাবি হলো- অবিলম্বে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হোক।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহজাদ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, দাবি আদায়ে দীর্ঘ আটমাস ধরে আমরা আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু সরকার দাবিগুলো বাস্তবায়নে পরিপূর্ণভাবে সমাধানের পথে হাঁটতে পারছে না।
তিনি বলেন, আমরা কোনো সহিংসতায় যাবো না। জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কোনো কর্মসূচিও আমরা করবো না। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এর আগে পূর্বঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি সফল করতে মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
সারাদেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও একই কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সব পলিটেকনিক শাটডাউন রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাতে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমেদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার থেকে ছয় দফা দাবিতে সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একযোগে শাটডাউন থাকবে। দাবি না আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস