ঘোষণাটা আগেভাগেই দিয়ে বসেছিল কিছু সংবাদমাধ্যম—রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুনে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেবেন কার্লো আনচেলত্তি। অবশ্য তখন পর্যন্ত আনচেলত্তির ভবিষ্যতের গতিপথ এমনই ছিল। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে নতুন খবর, যেটা আগের খবরের উল্টো। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, ইতালিয়ান কোচের সঙ্গে আলোচনা কিংবা দর–কষাকষি শেষ হয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) এবং খবরটা ইতিবাচক নয়। রিয়াল আনচেলত্তিকে ছাড়ার পথটা কঠিন করে তোলায় আনচেলত্তিকে নিয়ে আসার পথটা রুদ্ধ হয়ে গেছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ এই আলোচনা ভেস্তে গেছে। গ্লোবোর খবর অনুযায়ী, আনচেলত্তিকে নিয়ে আসার আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর সিবিএফের ‘প্ল্যান বি’তে ফেবারিট এখন সৌদি প্রো লিগের দল আল হিলালের কোচ জর্জ জেসুস।

আরও পড়ুনএক রাতে এত দুঃসংবাদ, রিয়াল এখন কী করবে৬ ঘণ্টা আগে

সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন ব্রাজিল জানিয়েছে, আনচেলত্তি যে সময়ে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং যে আর্থিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে তিনি ক্লাব ছাড়তে চান, তাতে অসন্তুস্ট হয়েছে রিয়াল। এতে তাঁর ব্রাজিল কোচ হিসেবে যোগদান জটিলতার মধ্যে পড়েছে। গ্লোবোর প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব নিতে সিবিএফকে আনচেলত্তির মৌখিক সম্মতি দেওয়ার খবর জানার পর রিয়ালের বোর্ড পরিচালকেরা কঠোর হন।

রিয়ালে আনচেলত্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে। আনচেলত্তি যেহেতু তার আগেই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁর চুক্তির বাকি সময়ের অর্থ পরিশোধ করতে রাজি হয়নি মাদ্রিদের ক্লাবটি। ইএসপিএনও একই খবর জানিয়ে বলেছে, চুক্তির বাকি সময়ের অর্থ রিয়াল দিতে রাজি না হওয়ায় আনচেলত্তির ব্রাজিল যাত্রা থমকে গেছে। অথচ দুই দিন আগেও মোটামুটি সবাই নিশ্চিত ছিলেন ঠিকানা পাল্টে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেবেন আনচেলত্তি।

ইএসপিএনকে সূত্র কাল আরও জানিয়েছে, আনচেলত্তি যেন লা লিগা মৌসুমের বাকি সময়ে মনোযোগী হন, সেটা চেয়েছিল রিয়াল। পাশাপাশি ক্লাব বিশ্বকাপেও আনচেলত্তি থাকবেন, এটাও ছিল তাদের চাওয়া।

আরও পড়ুনযেভাবে আর্জেন্টিনার মার্তিনেজকে ময়মনসিংহে ফেরালেন শ্রাবণ২ ঘণ্টা আগে

গ্লোবো জানিয়েছে, এ মৌসুমে রিয়াল ভালো না করায় রিয়ালের বোর্ড পরিচালকেরা আনচেলত্তির বিদায় এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় এবং কোপা দেল রে-তে বার্সেলোনার কাছে রিয়ালের হারের পর এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। আনচেলত্তি তা জানার পর সিবিএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। চুক্তির মেয়াদ ফুরোনোর এক বছর আগেই রিয়াল তাঁকে ছেড়ে দিতে চাওয়ায় ক্লাবটির কাছে চুক্তি বাতিলের ফি দাবি করেন আনচেলত্তি। কিন্তু সিবিএফকে আনচেলত্তি মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন, এই খবর জানার পর রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ইতালিয়ান কোচের চুক্তি বাতিলের ফি দিতে রাজি হননি। আনচেলত্তি বিনা পয়সায় রিয়াল ছাড়লে আপত্তি নেই পেরেজের।

রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘নতুন কৌশলে’ তেল আবিব ও হাইফায় ইরানের হামলা, নিহত ৫

ইসরায়েলের তেল আবিব ও বন্দরনগরী হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চালিয়েছে ইরান। সোমবার ভোররাতে তেল আবিবের আকাশে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের দৃশ্য দেখা যায় এবং জেরুজালেমেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। হামলায় ৫ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

ইসরায়েলের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি লক্ষ্য করে চালানো আগাম হামলার পাল্টা জবাব হিসেবেই তেহরান এই আঘাত হানে।

জাতীয় জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, সর্বশেষ ইরানি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ইরানি হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। হামলায় আরও অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে।

হাইফায় ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান চলছে। জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, সেখানে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। বন্দরের কাছে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

তেল আবিবের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এই এলাকার মাত্র কয়েকশ মিটার দূরেই মার্কিন দূতাবাসের একটি শাখা অবস্থিত। দূতাবাস ভবনে কিছু ক্ষতি হলেও কেউ আহত হয়নি বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

এদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় তারা এমন একটি ‘নতুন কৌশল’ ব্যবহার করেছে। এর ফলে ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে।

আইআরজিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযানে ব্যবহৃত উদ্যোগ ও সক্ষমতাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির সর্বোচ্চ সমর্থন এবং আধুনিকতম প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সত্ত্বেও, ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই হামলা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি । তবে তারা বারবার বলে আসছে, তাদের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শতভাগ সুরক্ষিত নয় এবং সামনে আরও কঠিন সময় আসছে।

ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২২৪ জন। নিহতদের ৯০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা আবারও ইরানের বিপ্লবী গার্ড ও সামরিক বাহিনীর কমান্ড সেন্টারগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ