র‍্যানকন কারস লিমিটেড প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে সংযোজিত প্রোটন এক্স৭০ গাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রোটন বাংলাদেশের র‍্যানকন শোরুমে গাড়িটি উদ্বোধনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। নতুন গাড়ির সঙ্গে থাকছে পাঁচ বছর বা দেড় লাখ কিলোমিটার ওয়ারেন্টি। দেশে সংযোজন করা প্রথম প্রোটন এক্স৭০ কেনার সুযোগ মিলছে। গাজীপুরের কাশিমপুর, ভবানীপুরে র‍্যানকন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত র‍্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এই গাড়ি তৈরি হচ্ছে। প্রোটন এক্স৭০ একটি সি-সেগমেন্টের কমপ্যাক্ট ক্রসওভার এসইউভি, যার নকশা বেশ আকর্ষণীয়। এতে রয়েছে প্রোটনের সিগনেচার ইনফিনিট উইভ গ্রিল, যা গাড়ির সামনের অংশে শক্তিশালী ও আলাদা পরিচয় তৈরি করে।

গাড়িটিতে রয়েছে ইন্টেলিজেন্ট হাই বিম কন্ট্রোল (আইএইচবিসি) হেডল্যাম্প, ডেলাইট রানিং ল্যাম্প (ডিআরএল), অটো রেইন-সেন্সিং ওয়াইপার এবং প্যানোরামিক সানরুফ, যা কেবিনে খোলামেলা ও আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। গাড়িটিতে আছে স্টাইলিশ ১৯ ইঞ্চি অ্যালয় রিম এবং ২০০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, যা একে করেছে আরও শক্তিশালী। গাড়িটিতে রয়েছে টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, যেখানে কথা বলে (হাই প্রোটন) গাড়ির ফিচারগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে আছে অনলাইন নেভিগেশন, মিউজিক স্ট্রিমিং, আবহাওয়ার আপডেট, স্মার্টফোন কানেকটিভিটি, ৬টি ইউএসবি পোর্ট, কি-লেস এন্ট্রি, ড্রাইভ মোড সিলেকশন, ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা এবং উন্নত ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেম (এডিএএস)। প্রোটন এক্স৭০-এ রয়েছে ১.

৫ লিটার টার্বোচার্জড টিজিডিআই (টিজিডিআই) পেট্রল ইঞ্জিন। আছে ৭ স্পিড ডুয়েল ক্লাচ ট্রান্সমিশন (ডিসিটি), সঙ্গে ম্যানুয়াল মোডও রয়েছে, যা গিয়ার পরিবর্তনকে করে মসৃণ ও দ্রুত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে র‍্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. বদিউজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় দেশে গাড়িটি সংযোজন করা হচ্ছে। পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টির এই গাড়ির দাম পড়বে ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে র‍্যানকন কারস লিমিটেডের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমানে প্রিমিয়াম এসইউভির চাহিদা বাড়ছে। প্রোটন বাংলাদেশে গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে, বিশেষ করে ভলভো ও লোটাসের মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রোটন এক্স৭০ উন্নত প্রযুক্তি ও ডিজাইন নিয়ে এসেছে। বিশ্বমানের এসইউভি আমাদের বাজারে আরও সহজলভ্য করে তুলতে স্থানীয়ভাবে অ্যাসেম্বল একটি বড় পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি। এই গাড়ি থেকে টেকসই ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা মিলবে। গাড়িটি সি-সেগমেন্ট এসইউভি মানে যেসব গাড়ির দৈর্ঘ্য ৪.৪ মিটার থেকে ৪.৬ মিটার সেই ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম দামের গাড়ি। সি-সেগমেন্টের এসইউভি মডেলের বিভিন্ন গাড়ির দাম বর্তমানে ৪১ লাখ টাকা থেকে ৮৯ লাখ টাকা পর্যন্ত। সাশ্রয়ের হিসেবে এই গাড়ি এখন পর্যন্ত বাজারের সবচেয়ে সাশ্রয়ী সি-সেগমেন্ট এসইউভি। এই গাড়ির ১.৫ লিটার টার্বোচার্জড টিজিডিআই ইঞ্জিন কম জ্বালানি খরচে বেশি মাইলেজ দেয়। এক লিটার জ্বালানিতে গাড়িটি সর্বোচ্চ ১৪ কিলোমিটার চলতে পারে। ঢাকার যানজটের বিবেচনায় গাড়িটি ৭ কিলোমিটার রাস্তা সহজে যেতে পারছে।

গাড়ির প্রথম ক্রেতা কানাডাপ্রবাসী শেখ সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বাজারে এখন অনেক মডেলের গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। আমি অনেক দিন ধরে গাড়ি চালাই। নতুন এই মডেলের গাড়িটি চালিয়ে বেশ আনন্দ পাচ্ছি। গাড়িটি চালিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম স্বাচ্ছন্দ্যে।

নিরাপত্তা ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রোটন এক্স৭০-এ যুক্ত করা হয়েছে অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম (এডিএএস)। বাংলাদেশের অনিশ্চিত ও জটিল ট্রাফিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিস্টেম নিয়ে এসেছে প্রোটন। গাড়িটিতে রয়েছে অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল (এসিসি) এবং অটোনোমাস ইমার্জেন্সি ব্রেকিং (এইবি), যা যানজটে চলার সময় নিজে থেকে গতি নিয়ন্ত্রণ করে ও প্রয়োজনে গাড়ি থামিয়ে দেয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য আছে ব্লাইন্ড স্পট ইনফরমেশন সিস্টেম (বিএলআইএস) এবং লেন ডিপারচার ওয়ার্নিং (এলডিডব্লিউ), যা ব্যস্ত বা সংকীর্ণ রাস্তায় বা হাইওয়েতে হঠাৎ লেন পরিবর্তন বা ওভারটেকিংয়ের সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স গম ন ট ইন ড স

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বক্সিং রিংয়ে চ্যাম্পিয়ন জিনাতই, বোনকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে আফঈদা
  • দেশে প্রথমবারের মতো ২৫টি ‘বেশি বিপদজনক’ বালাইনাশক চিহ্নিত
  • হামাসকে অস্ত্রত্যাগে ও গাজার শাসন ছাড়তে সৌদি, কাতার, মিসরের আহ্বান
  • প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ট্রাম্পের দাবিকে অস্বীকার করলেন মোদি
  • প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের বিনামূল্যে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ