কোনো কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না: ট্রাম্প
Published: 30th, April 2025 GMT
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পা রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ১০০ দিন পূর্ণ হলো।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে একটি জনসভা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেন, তার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারবে না।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মিশিগানে নির্বাচনী প্রচারের আদলে আয়োজিত সমাবেশের মাধ্যমে তার ক্ষমতার ১০০তম দিন উদযাপন করেছেন। এ সময় তিনি ‘কমিউনিস্ট উগ্র বামপন্থী বিচারকদের’ আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তারা তার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কোনো কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না।’
এই সমাবেশে একটি ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওতে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল সালভাদরের একটি কুখ্যাত কারাগারে পাঠানোর দৃশ্য দেখানো হয়। ভিডিওটির সঙ্গে নাটকীয় আবহসংগীত বাজানো হয় এবং উপস্থিত জনতা চিৎকার করে উল্লাস প্রকাশ করে।
সমাবেশে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘এই ১০০ দিনে আমরা এমন পরিবর্তন এনেছি, যা গত ১০০ বছরে কেউ আনতে পারেনি।’ তিনি আগের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তারা সীমান্তে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী ঢুকতে দিয়েছিল এবং এর মাধ্যমে গ্যাং, মাদকচক্র ও সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে ঢুকে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা চায় গণ অভিবাসন, আর আমরা দিচ্ছি গণ বহিষ্কার।’
ট্রাম্প ১৭৯৮ সালের যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহারের পক্ষে সাফাই দেন। এ আইনের মাধ্যমেই তিনি ‘বিদেশি সন্ত্রাসীদের’ দ্রুত বহিষ্কার করতে পারছেন। এরপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ‘কিছু কমিউনিস্ট উগ্র বিচারক আইনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিজেরা নিতে চাইছে। এটা হতে পারে না। এই বিচারকরা আমাদের দেশ ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু আমেরিকাকে সুরক্ষিত রাখার এই মিশনে আমাকে কেউ থামাতে পারবে না।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।
যেমন–
পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়।
ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।
রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে।
বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস