বেরোবিতে চালু হচ্ছে নাম-রোলহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি
Published: 30th, April 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি। এতে পরীক্ষায় অধিকতর স্বচ্ছতা, খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন ও শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধ করতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক।
তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ফাইনাল পরীক্ষায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর কোনো পরীক্ষক বুঝতে পারবে না খাতা কোন শিক্ষার্থীর। এতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয় পরীক্ষায় নাম্বার কম বা বেশী দেওয়ার, তা আর থাকবে না।
এদিকে, রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, প্রায় প্রতিটি বিভাগে কিছু শিক্ষক রয়েছেন, যারা তাদের পছন্দের শিক্ষার্থীকে নম্বর বেশি দিয়ে থাকেন। আবার বাহ্যিক কোনো বিষয়ে শিক্ষকের সঙ্গে মতের অমিল হলে তিনি রোল নম্বর চিহ্নিত করে পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়ে থাকেন। তখন ভালো লিখেও আশানুরুপ ফল পাওয়া যায় না।
তারা আরো বলেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ থাকলেও কিছু করার ছিল না। আমরা আশা করছি এবার রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন চালু হলে প্রত্যেকের খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন হবে।
সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া