নবায়নযোগ্য শক্তির দাবিতে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন
Published: 30th, April 2025 GMT
বাংলাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্য অর্জনে নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে অনুষ্ঠিত হলো এক জোরালো মানববন্ধন। এ সময় নীতিমালা সংস্কার, স্মার্ট গ্রিড বাস্তবায়ন ও “বিদ্যুৎ নেই, বিল নেই” নীতি কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে আয়োজিত এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেয় পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি (ESADS)। সহযোগিতায় ছিলো কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (CLEAN) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED)।
এদিনের কর্মসূচিতে পরিবেশকর্মী, সচেতন নাগরিক ও নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণে গঠিত মানববন্ধনে ব্যানার ও বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় নবায়নযোগ্য শক্তির পথে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো। বক্তারা বলেন, “পুরনো অবকাঠামো, অনুমোদনের জটিলতা, বিনিয়োগ ঝুঁকি এবং নীতির দুর্বল বাস্তবায়ন নবায়নযোগ্য খাতের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।”
এসময় বক্তারা ৬দফা দাবি পেশ করেন ১। একক সেবা কেন্দ্র (One Stop Service) চালু করে দ্রুত প্রকল্প অনুমোদনের ব্যবস্থা। ২। স্মার্ট গ্রিড ও নেট এনার্জি মিটারিং (NEM) বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রিড আধুনিকীকরণ। ৩। বিদ্যুৎ বাজেটের ২০% নবায়নযোগ্য শক্তিতে বরাদ্দ। ৪। ব্যাংকিং খাতের ২৫% জ্বালানি অর্থায়ন নবায়নযোগ্য প্রকল্পে নির্ধারণ। ৫। আমদানি শুল্ক হ্রাস ও ট্যারিফ শর্ত বাতিল। ৬। “বিদ্যুৎ নেই, বিল নেই” নীতির কার্যকর বাস্তবায়ন।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি (ESADS) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “এই আন্দোলন নারায়ণগঞ্জের সবুজ ও ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যতের প্রতীক। এটি কেবল প্রযুক্তিগত নয়, বরং জীবনমান, জলবায়ু সহনশীলতা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের প্রশ্ন।”
ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর প্রতিনিধি বলেন, “আমাদের মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি শুধু বিকল্প নয়—এটি টিকে থাকার হাতিয়ার।”
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি (ESADS) এর মহাসচিব মীযানুর রহমান, সোনারগাঁ কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ ফজলুল হক ভূইয়া, মনির হোসেন, সাংবাদিক মিমরাজ, মোক্তার হোসেন, জহিরুল ইসলাম জহির, ইমরান, মোঃ হামীম, মোঃ সিফাতসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
‘চট্টগ্রামে সাইক্লিস্ট ওসমানের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, হত্যা’
গাড়ি চাপা দিয়ে সড়কে নির্মমভাবে সাইক্লিস্ট ওসমান গণিকে (১৯) হত্যা করেছে। ধাক্কা দেওয়ার পর ওসমানের মাথার ওপর গাড়ি চালিয়ে চলে যান আসামি। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, হত্যা। এ হত্যার বিচার হতে হবে। এখন আসামির বয়স নিয়ে লুকোচুরি করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরের বড়পোল এলাকায় প্রাইভেট কারের ধাক্কায় নিহত সাইক্লিস্ট ওসমান হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনের এসব কথা বলেন উপস্থিত বক্তারা। আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় নগরের জামালখান এলাকায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন আয়োজন করে চট্টগ্রাম সাইক্লিং কমিউনিটি। মানববন্ধন থেকে আসামির শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এর আগে গত বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বড়পোল এলাকার সিলভার বেলস স্কুলের সামনে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় নিহত হন ওসমান গণি। তিনি বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পূর্ব বাইশারী গ্রামের মোহাম্মদ নাছিরের ছেলে। এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সড়ক পরিবহন আইনে হালিশহর থানায় মামলা করেন নিহত ব্যক্তির মামা আবুল কাশেম।
মামলায় প্রাইভেটকার চালক তানিম হোসেনকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি নগরের হালিশহর এল ব্লক এলাকার এরশাদ হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, তানিম তাঁর বাবার গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন সময় সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতেন। কিন্তু তাঁর কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। শুরুতে তাঁর বয়স ১৬ থেকে ১৭ বলা হলেও মামলার এজাহারে তাঁর বয়স ১৯ উল্লেখ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত ওসমানের বাবা মোহাম্মদ নাছির, মামা আবুল কাশেম, বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সদস্য সুবীর মিত্র, জাতীয় পর্যায়ের সাইক্লিস্ট রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়া সারা দেশের অন্তত ১০টি সাইক্লিং গ্রুপের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে ওসমানের বাবা মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। তাঁর মৃত্যুতে আমাদের পরিবার ভেঙে পড়েছে। গ্রামের মানুষ, এলাকার লোকজন সবাই শোকাহত। ছেলে যে বাসায় কেয়ারটেকার ছিল সেখানে বাজার-সদাই সে করতে। সেদিনও সে একই উদ্দেশ্যে বেড়িয়েছিল।’
অন্য বক্তারা বলেন, লাইসেন্স ছাড়া কীভাবে সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হয়? আবার তাঁকে এখন শিশু বানানো হচ্ছে। বাবার টাকা থাকলেই কী হত্যাকারীরা বের হয়ে যাতে পারে? আসামি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক, তাঁকে শিশু বানিয়ে তাঁর বাবা ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাঁর ফেসবুকে তাঁর বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ভিডিও সবাই দেখেছেন। বারবার প্রশ্রয় পেয়ে তিনি এমন বেপরোয়া হয়েছেন।