গান শোনাতে সৌদি আরবে গিয়েছেন বাংলাদেশের একঝাঁক তারকা সংগীতশিল্পী। এ তালিকার প্রধান আকর্ষণ নগরবাউল জেমস। তাছাড়াও রয়েছেন— দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান, মিলা প্রমুখ।

গতকাল সৌদি আরবের রিয়াদে শুরু হয়েছে ‘রিয়াদ সিজন’। এটি ৩ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। গত সাত বছর ধরে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে সৌদি সরকার। প্রতি সিজনে আয়োজনটির নাম থাকে আলাদা।

এবারের আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাসপোর্ট টু দ্য ওয়ার্ল্ড’। এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে রিয়াদের দাম্মাম শহরে। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি তুলে ধরবেন তারকা শিল্পীরা। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

আরো পড়ুন:

‘রাজনৈতিক পরিচয় থাকলে কি শিল্পীকে অসম্মান করা যায়?’

মৌসুমী ইকবালের ‘বাউরা ছোঁড়া’

এ বিষয়ে জেমস গণমাধ্যমকে বলেন, “সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার গান শোনাতে যাচ্ছি। ২ মে দাম্মামে গান শোনাব। ৯ মে জেদ্দায় আরো একটি কনসার্ট রয়েছে, সেখানেও গাইব। এরপর ২০২৫ সালের ট্যুর নিয়ে লম্বা সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাব।”

এ আয়োজনের বাংলাদেশ পর্বের কনসার্টে প্রথম দিন গান পরিবেশন করেন গাইবেন দিলশাদ নাহার কনা, আকাশ মাহমুদ, শিল্পী আক্তার রিয়া ও ডিজে সাফা। দ্বিতীয় দিন (১ মে) গান শোনাবেন সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল, মুহাম্মদ মিলন, আয়শা জেবিন দিপা ও ডিজে সাফা।

উৎসবের তৃতীয় দিন (২ মে) জেমসের সঙ্গে গাইবেন বিউটি খান, আকাশ মাহমুদ, শিল্পী আক্তার রিয়া ও ডিজে সাফা। অনুষ্ঠানের শেষদিন (৩ মে) গান শোনাবেন সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম, আরমান আলিফ, বিউটি খান ও ডিজে সাফা।

বাংলাদেশ ছাড়াও এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে সুদান, ভারত, ফিলিপাইনসের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঘাড়ব্যথার কারণগুলো কী কী, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা জেনে রাখুন

অনেক কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

১. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস

২. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস

৩. সারভাইক্যাল রিবস

৪. সারভাইক্যাল ক্যানেল স্টেনোসিস বা স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া

৫. সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস বা হারনিয়েশন যেখানে হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভের ওপর চাপ প্রয়োগ করে

৬. মাংসপেশি, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি

৭. অস্বাভাবিক পজিশনে নিদ্রা

৮. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগ

৯. হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ এবং ক্ষয়

১০. অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ

১১. হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া

১২. রিউমাটয়েড-আর্থ্রাইটিস ও সেরো নেগেটিভ আর্থ্রাইটিস

১৩. সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস

১৪. ফাইব্রোমায়ালজিয়া

১৫. সামনে ঝুঁকে বা পাশে কাত হয়ে ভারী কিছু তুলতে চেষ্টা করা

১৬. হাড়ের ইনফেকশন

১৭. ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ)

১৮. পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নিচু বা উঁচু করে রাখলে ইত্যাদি।

উপসর্গ

ঘাড়ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত ছড়াতে পারে।

কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব।

বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল হতে পারে।

সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে আছে মনে হয়।

ঘাড়ের মুভমেন্ট করলে, ঘাড় নিচু করে ভারী কিছু তোলার পর তীব্র ব্যথা।

হাঁচি, কাশি দিলে বা সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বেড়ে যায়।

ব্যথা মাথার পেছন থেকে শুরু হয়ে মাথার সামনে আসতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

ঘাড়ব্যথার কারণ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা হতে পারে—রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, ঘাড়ের এক্স-রে, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান।

চিকিৎসা

চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।

কনজারভেটিভ চিকিৎসা: ১. ব্যথা বা প্রদাহনাশক ওষুধ ২.ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যেমন ম্যানুয়াল বা ম্যানুপুলেশন থেরাপি, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট যেমন ইন্টারফ্যারেনশিয়াল থেরাপি, অতি লোহিত রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ডায়াথারমি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ও ইন্টারমিটেন্ট ট্র্যাকশন ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।

সার্জিক্যাল চিকিৎসা: মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো না হলে, ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু সমস্যা দেখা দিলে, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা এবং অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

ঘাড়ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়

১. সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না।

২. মাথার ওপর কোনো ওজন নেবেন না।

৩. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।

৪. শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।

৫. শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।

৬. তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) বন্ধ করা।

৭. সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।

৯. কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না।

১০. কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।

১১. গরম প্যাড, গরম পানির বোতল দিয়ে গরম সেঁক দেবেন।

১২. ঘাড়ের পেশি নমনীয় ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।

এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুনকাঁধের ব্যথা বা কাঁধ জমে যাওয়ার কারণ ও করণীয়১৭ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ