Samakal:
2025-05-01@14:05:03 GMT

মিষ্টি মেয়ের গল্প

Published: 1st, May 2025 GMT

মিষ্টি মেয়ের গল্প

‘সবসময় চেয়েছি নিজেকে ভিন্নরূপে পর্দায় উপস্থাপন করতে। কতটা পেরেছি জানি না। দর্শক তা ভালো বলতে পারবেন। চলতে চেয়েছি নিজের ইচ্ছামাফিক। মন যে কাজে সায় দেবে না, তা করতে চাইনি কখনও। এমন ভাবনার কারণে অভিনয়ে আর আগের মতো ব্যস্ততা নেই। তারপরেও ভালো কিছু কাজের সুযোগ হয়েছে। তাই এ ধরনের কাজের মধ্য দিয়ে অভিনয়ের বাকি পথ পাড়ি দিতে চাই।’ এক নিঃশ্বাসে এ কথাই বলে গেলেন অভিনেত্রী ও মডেল তাসনুভা তিশা।  

তাঁর কথা থেকে বোঝা গেল, পরিচিতি কিংবা জনপ্রিয়তার মোহে এখন আর তিনি অভিনয় করতে চান না; বরং ভালো কাজের মধ্য দিয়ে দর্শক মনে দাগ কাটতে চান। ভালো চিত্রনাট্য, চরিত্র, নির্মাতা পেলে নিজেকে উজাড় করে কাজ করতে চান। তাঁর এ কথার প্রমাণ পাওয়া যায় সম্প্রতি প্রচার হওয়া তারেক রেজা সরকারের ‘আপন মানুষ’, মাহমুদ হাসান রানার ‘প্রিয়জন’, আদিফ হাসানের ‘কাজল চোখ’, কাজী বাহাদুর হিমুর ‘অভিনয় নয়’, শামীম জামানের ‘ডাবল রোল’, পথিক সাধনের ‘লাভ টু হেইট ইউ’, শরীফুল ইসলাম শামীমের ‘সময়ের প্রয়োজনে’, মেহেদী হাসান জনির ‘হৃদয়ের আয়না’র দিকে চোখ রাখলে তাঁর অভিনীত এ নাটকগুলো দর্শকদের মনোযোগ কেড়েছে।  

২০১৪ সালে ‘লাল খাম বনাম নীল খাম’ দিয়ে নাটকে অভিষেক হয় তিশার। এনটিভিতে এটি ভালোবাসা দিবসে প্রচার হয়েছিল। এরপর একনাগাড়ে অভিনয় করে গেছেন তিনি। মাঝে মা হওয়ার পর অভিনয় থেকে দূরে চলে যান। দীর্ঘ বিরতির পর গত বছরের মার্চে শুটিংয়ে ফেরেন এ অভিনেত্রী। বিরতি শেষে ফিরে কিছু কাজ তাঁকে নতুন করে আলোচনায় এনেছিল। 

ওটিটিতে নিজের অভিনয়ের ঝলক দেখান ‘আগস্ট ১৪’ দিয়ে। মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘রেশ’ তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য কাজ। 

আসছে কোরবানির ঈদের জন্য তাইফুর জাহান আশিকের পরিচালনায় ‘সংসার বিষের বড়ি’ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তারকা অভিনেতা মোশাররফ করিম। রোমান্টিক গল্পের বাইরেও ইদানীং পারিবারিক গল্পে অনেক কাজ করছেন। এ ধরনের গল্পের প্রতি কোনো দুর্বলতা আছে? ‘‘আমার মতো অনেকেই পারিবারিক গল্পের নাটক পছন্দ করেন। এর প্রমাণও পাওয়া গেছে বহুবার। অথচ এখন পারিবারিক গল্পে নাটকের খরা চলছে। অনেকে বাজেটের কথা মাথায় রেখে কাজ করেন। যেজন্য নাটকে হাতেগোনা দু-তিনটির বেশি চরিত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। পরিচালক নির্মাতা তাইফুর রহমান আশিক যখন ‘সংসার বিষের বড়ি’ নাটকটির প্রস্তাব দিলেন, তখন কষ্ট করে হলেও তাঁর নাটকের জন্য সময় বের করেছি।’’ বললেন তিশা। 

মিডিয়ায় অনেক জুটি সফল হয়েছেন। অনেক দিন ধরে অভিনয় করছেন, কিন্তু কোনো অভিনেতার সঙ্গে জুটি গড়ে ওঠেনি। এখন এ নিয়ে আলাদা করে কিছু ভাবছেন? 

‘জুটিপ্রথা বেশ আগে থেকে ছিল মিডিয়ায়। কোনো অভিনেতার সঙ্গে আলাদা করে জুটি করে তোলা নিয়ে কখনও ভাবিনি। সত্যি যে, গত কয়েক মাসে আরশ খানের বিপরীতে কাজ বেশি হয়ে গেছে। এজন্য হয়তো মনে হতে পারে, আমি এখনও আরশের সঙ্গে কাজে বেশি আগ্রহী। দর্শকের কারণে জুটি তৈরি হয়। তাদের ভালোলাগাকে নির্মাতারা প্রাধান্য দিয়েছেন বলে আমাদের জুটি হয়েছে। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সবার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি, এখনও চাই। একজন অভিনয়শিল্পীকে সবার সঙ্গে কাজ করা উচিত বলে মনে করি। তাতে স্ক্রিনে ভিন্নতা পাওয়া যায়।’ বললেন তিশা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গানের ভুবনে লিজার অন্তহীন পথচলা

শীর্ষ তারকা হওয়ার দৌড়ে কখনও অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। যদিও ২০০৮ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান: তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় সেরা শিল্পীর মুকুট মাথায় উঠেছিল, তবু ধীরলয়ে পথ হেঁটে গেছেন। নিজের কাজে অতিমাত্রার উচ্ছ্বাসও দেখাননি কখনও। নীরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন সবসময়। গানে গানে কুড়িয়ে চলেছেন শ্রোতার ভালোবাসা। এ কারণে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করে তাঁকে চিনে নেওয়া যায়। বলছি, কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজার কথা। গানের ভুবনে অন্তহীন পথচলায় যিনি এরই মধ্যে পেরিয়ে এসেছেন প্রায় দেড় যুগের পথ। সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার রহস্যটা কী? শুরুতে যখন এ প্রশ্ন লিজার সামনে তুলে আনা হলো, তখন দেখা গেল, লিজা নিজেই এর উত্তর খুঁজতে বসে গেছেন। এ পর্যায়ে হেসে বললেন, ‘না, এর উত্তর সত্যি জানা নেই। আসলে আমি তো গান গাই শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ আর ভালোবাসা কুড়ানোর জন্য। হ্যাঁ, শিল্পীসত্তাকে খুশি রাখতে গানের চর্চা ধরে রেখেছি বললে ভুল হবে না। তারপরও প্রতিটি আয়োজনে শ্রোতার ভালোলাগা, মন্দলাগাকে প্রাধান্য দিয়েছি। এতে করে কতটুকু জনপ্রিয়তা পেয়েছি। সেই জনপ্রিয়তা শুরু থেকে একই রকম আছে কিনা– সেটি তো শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন।’ লিজার এ কথা থেকে বোঝা যায়, যাদের কারণে শিল্পীজীবন বেছে নেওয়া, সেই শ্রোতা তাঁর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সেখানে তাঁর গানগুলো ছিল চালিকাশক্তি। তবে ১৭ বছরের সংগীতের এ পথচলায় লিজার কণ্ঠে মেলোডি গান বেশি শুনতে পাওয়া গেছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই দেড় যুগে নানা ধরনের গান গেয়েছি, তবু কেন জানি শ্রোতারা আমাকে মেলোডি গানের শিল্পীদের দলে রেখে দিয়েছেন। অস্বীকার করব না যে, আমার কণ্ঠে যে ধরনের গান ভক্তরা বেশি শুনতে চান, সে ধরনের গান বেশি গাই। এটিও ঠিক যে, মেলো কিংবা স্যাড-রোমান্টিক গানের প্রতি শ্রোতার ভালোলাগা সবসময় ছিল। এখনও অনেকে মেলোডি ছাড়া গানের কথা ভাবতে পারেন না। এজন্য নিরীক্ষাধর্মী কাজ করলেও আমি চাই না মেলোডি থেকে কখনও দূরে সরে থাকতে। তাই মেলোডি গান যেমন গাইছি, তেমনি গানের নিরীক্ষাও চালিয়ে যাচ্ছি।’ লিজার এ কথা যে মিথ্যা নয়, তা সর্বশেষ প্রকাশিত গানগুলোর শুনলে প্রমাণ মেলে। ক’দিন আগে বিটিভির ‘বৈঠকখানা’ অনুষ্ঠানে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মুহিনের সঙ্গে গাওয়া ‘তোমার নামে’ গানে যে লিজাকে শ্রোতা আবিষ্কার করবেন, তার সঙ্গে মেলানো কঠিন হবে সামজ ও রিজানের সঙ্গে ‘তিতা কথা’ গানের লিজাকে। আরেকটু পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ‘খুব প্রিয় আমার’, ‘তুমি এলে’, ‘পূর্ণিমা চাঁদ’ গানগুলোয় লিজা অতীতের গায়কীকে ছাপিয়ে কীভাবে আরও নতুন হয়ে নিজ কণ্ঠ তুলে এনেছেন। 

মাঝে কিংবদন্তি শিল্পীদের বেশ কিছু কালজয়ী গানের রিমেকে কণ্ঠ দিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছেন সংগীতবোদ্ধাদের। স্টেজ শো, রেডিও, টিভির আয়োজন থেমে শুরু করে সিনেমার প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি অন্যদের চেয়ে কোনোভাবে পিছিয়ে নন। এককথায়, বহমান সময়টিকে সুরেলা করে রেখেছেন অনিন্দ্য কণ্ঠ জাদুতে। 

আগামীতেও লিজার কণ্ঠ বাতাসে ভেসে বেড়াবে– এ অনুমান করা যায়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চেন্নাইয়ের ঘরে বিষাদের বাজনা, ধোনির চোখে বিদায়ের আভা
  • গানের ভুবনে লিজার অন্তহীন পথচলা
  • চিনি-লবণের অনুপম পাঠ
  • শততম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে চান ইয়ামাল
  • নির্মাতার ঘোষণার অপেক্ষায় চিত্রাঙ্গদা
  • শিশুর মাথা ঘামে কেন
  • কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত হাওয়া