মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার।

বৃহস্পতিবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.

মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

অফিস আদেশে সূত্রে জানা যায়, আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন। বিষয়টি বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায় তার বিরুদ্ধে জনক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

আরো পড়ুন:

ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইবিতে সাংবাদিককে হেনস্তা

ইবিতে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত সেই মোজাম্মেল

এছাড়া গত ২২ এপ্রিল থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ও ২৮ এপ্রিল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিণাকুন্ডু আমলী আদালত ঝিনাইদহে এ বিষয়ে মামলা রুজু হওয়ায় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৩ (জ) ৩.১৫ (খ) ধারা অনুযায়ী ২২ এপ্রিল হতে তাকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী জীবনধারণ ভাতা পাবেন।

মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নবি-রাসুলদের নিয়ে কটূক্তি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। পরে তারা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ মৌখিক মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভাগের কাছে তার বহিষ্কারের দাবি জানালে তদন্তে কমিটি গঠন করে বিভাগটি। এছাড়া শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও আন্দোলন করেন এবং কর্তৃপক্ষের কাছে শাস্তির দাবি জানান।

ঢাকা/তানিম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ