মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি, ইবি কর্মকর্তা বরখাস্ত
Published: 1st, May 2025 GMT
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.
অফিস আদেশে সূত্রে জানা যায়, আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন। বিষয়টি বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায় তার বিরুদ্ধে জনক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
আরো পড়ুন:
ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইবিতে সাংবাদিককে হেনস্তা
ইবিতে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত সেই মোজাম্মেল
এছাড়া গত ২২ এপ্রিল থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ও ২৮ এপ্রিল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিণাকুন্ডু আমলী আদালত ঝিনাইদহে এ বিষয়ে মামলা রুজু হওয়ায় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৩ (জ) ৩.১৫ (খ) ধারা অনুযায়ী ২২ এপ্রিল হতে তাকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী জীবনধারণ ভাতা পাবেন।
মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নবি-রাসুলদের নিয়ে কটূক্তি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। পরে তারা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ মৌখিক মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভাগের কাছে তার বহিষ্কারের দাবি জানালে তদন্তে কমিটি গঠন করে বিভাগটি। এছাড়া শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও আন্দোলন করেন এবং কর্তৃপক্ষের কাছে শাস্তির দাবি জানান।
ঢাকা/তানিম/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই উপদেষ্টার গড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে গতিরোধ করা, সরকারি কাজে বাধা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রোববার রাতে গোয়ানঘাট থানায় ১৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন থানার এসআই ওবায়েদ উল্লাহ। মামলার পর সোমবার ভোরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মামলার ৬নং আসামি কালিনগরের দেলোয়ার হোসেন দুলু, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান মিয়া ও ছৈলাখেল অষ্টম খন্ডের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ।
শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তারা ফেরার পথে জাফলং পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে বিএনপির সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে দুই উপদেষ্টার আটকে নানান স্লোগানে বিক্ষোভ করা হয়। ঘটনার পর গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে বহিষ্কার ও জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি আজির উদ্দিনকে শোকজ করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, গতকাল রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদ্য বহিষ্কৃত গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে। দ্বিতীয় আসামি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সোহেল আহমদ, ওমর ফারুক, সুমন শিকদার, দেলোয়ার হোসেন দুলু, আব্দুস সালাম ও আব্দুল জলিল।