তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকে মুখর কুয়াকাটা
Published: 1st, May 2025 GMT
শ্রমিক দিবসসহ সরকারী তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে বাড়তি পর্যটকের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটন নগরী কুয়াকাটা।
ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের আনাগোনায় বুকিং রয়েছে ৯০ শতাংশ হোটেল মোটেল। বিক্রি বেড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। খালি নেই হোটেল-মোটেল-কটেজ-রিসোর্টের কোনো কক্ষ। সব আবাসিক হোটেল, মোটেল, কটেজ, রিসোর্ট সব কানায় কানায় পূর্ণ। বুকিং না থাকায় অনেক পর্যটক পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিপণী বিতানগুলোতে।ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
আরো পড়ুন:
মহাকাশ ঘুরে এলেন কেটি পেরিসহ ৬ নারী
সৈকতে জেগে ওঠা কংক্রিট-জিও ব্যাগ পর্যটকদের গলার কাঁটা
স্থানীয়রা জানান, আগত পর্যটকরা সৈকতে আনন্দে মেতেছেন। অনেকে দল বেঁধে নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে উচ্ছাসে মেতেছেন। অনেকে আবার ঘোড়া, ওয়াটার বাইক কিংবা মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রুবাইয়াত হোসেন বলেন, “তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে আমরা পরিবারের সবাই মিলে কুয়াকাটা এসেছি। আজ এসে বড় বড় ঢেউ উপভোগ করেছি। সমুদ্রের বিশালতা আমাদের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে।”
খুলনার পাইপগাছা থেকে আসা পর্যটক মুরাদ হোসাইন বলেন, “আমরা খুলনার একটি কলেজ পড়ি। ২০ জন বন্ধু মিলে প্রথমবারের মতো কুয়াকাটায় আসল। এখানের সবকিছুই বেশ দারুণ লেগেছে। তবে হোটেল ভাড়া এবং খাবার মূল্য একটু বেশি মনে হচ্ছে।”
পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের তৎপরতা রয়েছে।
ট্যুরিষ্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “শুক্রবার কুয়াকাটায় আরো বেশি পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় জন্য আমাদের সদস্যরা সর্বদা তৎপর রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ পর যটক
এছাড়াও পড়ুন:
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে ৫ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
যৌথ সভা শেষে জানানো হয়, ৭ নভেম্বর সকাল ছয়টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে বিএনপির কার্যালয়গুলোয় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় জাতীয় নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতা–কর্মী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে একই দিন বেলা তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের করা হবে। এর আয়োজক ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একই দিন বিএনপির উদ্যোগে র্যালি আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে আছে—
শ্রমিক দল: ৫ নভেম্বর আলোচনা সভা।
ছাত্রদল: ৮ নভেম্বর আলোচনা সভা। ৭ ও ৮ নভেম্বর টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
ওলামা দল: ৯ নভেম্বর এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
তাঁতী দল: ১০ নভেম্বর আলোচনা সভা।
কৃষক দল: ১১ নভেম্বর আলোচনা সভা।
জাসাস: ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া ১২ নভেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ চীন–মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৬ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য তুলে ধরে ডকুমেন্টারি (ভিডিও ও স্থিরচিত্র) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। একই সঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার চেতনা ও জাতীয় সংহতির প্রতীক হিসেবে এ দিবসের গুরুত্ব আজও অনস্বীকার্য।