বিগত বছরের তুলনায় এবার ঈদুল ফিতরে সিনেমা নিয়ে  দর্শকের উন্মাদনা ছিল অনেকটাই বেশি। মুক্তি পাওয়া হাফ ডজন সিনেমার মধ্যে অনেক সিনেমা নিয়েই দর্শকদের ন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত। ঈদের সাড়া জাগানো একটি ছবি সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’।

শুরুতে ‘জংলি’ সিনেমার প্রতি অন্যরকম ভাবনা ছিল দর্শকদের। কেউ ভেবেছেন এটি অ্যাকশন ঘরানার, আবার কেউ ভেবেছেন থ্রিলার স্টোরি। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার পর ছবিটি দেখে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পায় দর্শকেরা।

এর সঙ্গে ‘জংলি’ মুক্তির পর দিন যতো যায়, সিনেমাটি সাফল্যের আলো দেখতে থাকে ততটাই। এক মাস হলো ছবিটি মুক্তির। এখনও প্রেক্ষাগৃহে চলছে ‘জংলি’, দর্শকেও ভর্তি প্রেক্ষাগৃহের অন্দর।

দেশের মাল্টিপ্লেক্স, সিনেমা হলগুলো থেকে তো বটেই, বিদেশের থিয়েটার থেকেও সুখবর পাওয়া গেল সিয়াম আহমেদের এই ছবিটি নিয়ে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে একটা বড় অঙ্কের টাকা আয় করেছে পরিচালক এম রাহিম-এর এই সিনেমাটি।

এদিকে মুক্তির মাস খানেক পর জংলি সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়া জানিয়েছে সিনেমাটি টোটাল ওয়ার্ল্ডওয়াইড গ্রস সেল ৫ কোটি ২ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমাটিকে সুপারহিট দাবি করে ব্লকবাস্টার হিটে পথেও বলে দাবি করেছেন। 

 টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি জানিয়েছেন, 'জংলি' আমাদের গোটা টিমের প্রচণ্ড প্যাশন প্রজেক্ট। আমরা খুব কনশাসলি এই প্রজেক্টটা রেডি করেছিলাম যেন মার্কেট থেকে লগ্নিকৃত অর্থ তুলতে পারি পাশাপাশি এই ভগ্নপ্রায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রফিট করে আরও মানুষকে অনুপ্রেরণা দিতে পারি। প্রযোজকরা যেন স্বপ্ন দেখার সাহস পায়, এটাই আমাদের ইচ্ছা ছিল। জংলির বাজেট আড়াই কোটি টাকা, রিলিজের আগেই আমরা প্রপার ব্র‍্যান্ড প্লেসমেন্ট, টিভি রাইটস থেকে বেশ ভালো একটা অংক ফেরত পেয়েছি। এদিকে সিনেমাহল থেকেও দেশে-বিদেশে দারুণ সাড়া পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত দেশের সিনেমাহল থেকে জংলি ৪ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা গ্রস সেল করেছে ও বাইরের দেশ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা গ্রস সেল করেছে। জংলির টোটাল ওয়ার্ল্ডওয়াইড গ্রস সেল ৫ কোটি ২ লক্ষ টাকা। 

অভি বলেন, 'জংলি'কে এখনও যেভাবে ভালোবাসা দিচ্ছেন আপনারা, তাতে করে আমি আমার এক যুগের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি 'জংলি' নিশ্চিতভাবেই ব্লকবাস্টার হতে যাচ্ছে।’

জানা গেছে, জনি থেকে জংলি হয়ে ওঠা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। সিনেমার প্রথমার্ধে সিয়ামকে সেই চিরায়ত ‘চকলেট বয়’ লুকে দেখা গেলেও পরে তার লুক ও অভিনয় ছিল আগের কাজগুলোর চেয়ে একেবারেই আলাদা। পর্দায় এবার তিনি পাশের বাড়ির ছেলে নন; বরং বখে যাওয়া এক জংলি। পর্দায় তিনি সত্যিই জংলি হয়ে উঠেছিলেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ ঈদ র স ন ম লক ষ ট ক গ রস স ল

এছাড়াও পড়ুন:

জাফলংয়ের পাথর কোয়ারিতে এখনও রাজনৈতিক ছায়া

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের আগে সিলেটের জাফলংয়ের পাথর কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর কবজায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর পর রাজত্ব বদলেছে। বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীর হাতে এখন পাথর কোয়ারির চাবি। ইজারা স্থগিত থাকলেও রাতদিন বোমা মেশিন ও এক্সক্যাভেটর দিয়ে পাথর তোলা থেমে নেই। গত ৫ আগস্টের পর ৯ মাসে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার বালু পাথর লুট হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো জানিয়েছে।

লুটের অভিযোগে একাধিক নেতাকর্মী দলের পদ পদবি হারালেও এ পথ থেকে তারা ফিরছেন না। থানায় মামলা করেও দমানো যাচ্ছে না তাদের। সর্বশেষ শনিবার সরকারের দুই উপদেষ্টা জাফলংয়ে পরিদর্শনে গেলে তাদের গাড়িবহরে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ভিডিও ফুটেজে যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের একাধিক নেতাকেই ঘটনাস্থলে দেখা যায়।

শনিবার দুপুরে জাফলংয়ের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা শেষে ফেরার পথে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে একদল মানুষ পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে উপদেষ্টাদের গাড়িবহরের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন, যুবদল নেতা সুমন আহমদ ও শ্রমিক দলের দেলওয়ার হোসেনকে দেখা যায়। এ ছাড়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদসহ আরও কয়েক নেতাকর্মীকে সেখানে দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

পরিদর্শন শেষে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সিলেটের নান্দনিক ও নৈসর্গিক আবেদন আছে। এ রকম জায়গায় আমরা আর পাথর তোলার অনুমতি দেব না। এখানকার শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করছি। পরে বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, অবৈধভাবে বালু-পাথর তোলার কারণে পরিবেশের ধ্বংস হচ্ছে। আপাতত পাথর তুলতে দেওয়া হবে না।

গাড়িবহরে বাধার বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ জানান, হঠাৎ কিছু লোক উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে দেয়। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে।

শুরুতে জাফলং নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ ওঠে সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত গোয়াইনঘাটের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপনসহ যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে গত ১৬ অক্টোবর রফিকুল ইসলামের দলীয় পদ স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। সর্বশেষ ৯ জুন জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেমকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুবদল। বালু ও পাথর তোলার দায়ে গত ২৫ মার্চ ৩১ জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদ এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, দলের কেউ জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। অনেকে দলের নাম ভাঙিয়েও অপরাধ করছে।

আজিরের নেতৃত্বে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহরে বাধা প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
  • সাকিবকে এখনও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
  • ইরানের পাল্টা আঘাতে কাঁপল ইসরায়েল
  • জাফলংয়ের পাথর কোয়ারিতে এখনও রাজনৈতিক ছায়া
  • আলীকদমে ২ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্টের’ বর্ষা গ্রেপ্তার
  • ইরানে এখনও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল: আইডিএফ