দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর সীমান্তে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের সময় দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুই ভারতীয় কৃষককে ধরে এনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের কাছে সোপর্দ করেছেন বাংলাদেশিরা।

আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন বিওপি ক্যাম্পের মল্লিকপুর কারুলিয়াপাড়ার ৩২০/৯ এস পিলার-সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল।

বিএসএফের ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন ধর্মজৈন এলাকার বাসিন্দা ইসরাইলের ছেলে এনামুল হক (৪৫) ও বনগাঁও এলাকার এনামুলের ছেলে মো.

মাসুদ রানা (২২)। অন্যদিকে বিজিবির হেফাজতে থাকা ভারতীয় নাগরিকেরা হলেন ভারতের গঙ্গারামপুর থানার অনন্তপুর গ্রামের সরেণ টুডুর ছেলে অবিনাশ টুডু (২০) ও লরদু সরেণের ছেলে ফিলিপ সরেণ (৩০)।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে বাংলাদেশি নাগরিক মাসুদ রানা, এনামুল হকসহ কয়েকজন ৩২০/৯ এস পিলারের কাছে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে নিজ জমিতে ধান কাটছিলেন। ধান কাটা শেষে একই পিলারসংলগ্ন ভারতীয় নাগরিকের জমিতে ধান মাড়াই কার্যক্রম শুরু করেন। তখন বিএসএফ সদস্যরা দুজনকে ধরে নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে কারুলিয়াপাড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা ভারতীয় দুই কৃষককে ধরে নিয়ে কারুলিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আটকে রাখেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের মাধ্যমে বিজিবি সদস্যদের হাতে তুলে দেন।

জানতে চাইলে ধর্মজৈন বিওপি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সীমান্তে ধান কাটার সময় দুই বাংলাদেশি নাগরিককে তুলে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পরে স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিকেরা দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেন। আমরা ইতিমধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া চলমান।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ সদস য ক ষকক

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ