যুক্তরাজ্যের রাঙ্কর্ন ও হেলসবি আসনের উপনির্বাচনে ছয় ভোটের ব্যবধানে লেবার পার্টিকে হারিয়ে নাটকীয় জয় পেয়েছে রিফর্ম ইউকে।

আসনটিতে গত জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী জিতেছিলেন। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলটি ১৪ হাজার ৬৯৬ ভোটের ব্যবধানে সেখানে জিতেছিল। এবার তার চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে রিফর্মের প্রার্থী ও সাবেক কনজারভেটিভ কাউন্সিলর সারাহ পোচিন চেশায়ার অঞ্চলের এই আসনে জয়ী হন।

ওই আসনে লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) মাইক অ্যামসবেরি পদত্যাগ করায় সেখানে উপনির্বাচনের আয়োজন করা হয়। এক ভোটারের ওপর হামলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।

গ্রেটার লিঙ্কনশায়ারে মেয়র নির্বাচনেও সাফল্য পেয়েছে ডানপন্থী দলটি। রিফর্ম ইউকের প্রার্থী ডেম আন্দ্রেয়া জেনকিন্স সেখানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক এমপি ছিলেন।

এর মধ্য দিয়ে রিফর্ম ইউকে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের উপনির্বাচন এবং মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে দলটির মোট এমপির সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।

রাঙ্কর্ন ও হেলসবি আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর লেবার পার্টি আবার ভোট গণনার দাবি জানায়। কারণ, প্রথম গণনায় দেখা যায়, নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে মাত্র চার ভোটে এগিয়ে আছে।

দ্বিতীয়বার ভোট গণনার পর মাত্র ছয় ভোটের ব্যবধানে রিফর্ম ইউকে বিজয়ী হয়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।

ফলাফল ঘোষণার আগে ভোট গণনার সময় উপস্থিত ছিলেন নাইজেল ফারাজ। তিনি বলেন, ‘এই ফলাফল প্রমাণ করে, আমরাই এখন লেবার পার্টি সরকারের প্রধান বিরোধী দল।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ট র ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ