মাদ্রিদ ছাড়তে চান রদ্রিগো, দাম নির্ধারণ করে দিল রিয়াল
Published: 2nd, May 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদে গত মৌসুমে ভালো গেলেও চলতি মৌসুম খারাপ গেছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েসের। গোল করতে না পারায় ভক্তরা অখুশি তার ওপর। রদ্রিগোও খুশি নন রিয়ালে। কার্লো আনচেলত্তির অধীনে পছন্দের পজিশনে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ফ্যাবফোরে যোগ্য সম্মান পাননি। রিয়ালে তারকাখ্যাতিও জোটেনি।
গত জানুয়ারির পর লা লিগায় গোল পাননি রদ্রিগো। কোচ আনচেলত্তি তাকে একাদশে নিয়মিত রাখার জায়গায় বদলি নামানো শুরু করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষেই তাকে তুলে নিতে দেখা গেছে। গত মৌসুমে দারুণ খেললেও ব্যালন ডি’অর র্যাঙ্কিংয়ে ২০তম অবস্থানে ছিলেন তিনি।
রদ্রিগো মনে করেন, রিয়ালের পক্ষ থেকে ঠিক মতো কাভারেজ না পাওয়ায় তারকাখ্যাতি থেকে দূরে সরে গেছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যম মার্কার মতে, এসব কারণে লস ব্লাঙ্কোস শিবিরে ছাড়তে চান এই ব্রাজিলিয়ান নাম্বার টেন। তবে জাবি আলোনসো রিয়ালের কোচ হয়ে আসা পর্যন্ত নাকি অপেক্ষাও করতে চান। আলোনসোর পরিকল্পনা জানতে চান তিনি।
ওদিকে দি সান দাবি করেছে, প্রত্যাশা মতো দাম পেলে এবং রদ্রিগো চাইলে তাকে বিক্রি করতে আপত্তি নেই রিয়াল মাদ্রিদের। রদ্রিগোর জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরো দাম পাওয়ার প্রত্যাশা লস ব্লাঙ্কোসদের। ওই দাম পেলেই তাকে বিক্রি করে দেবে চলতি মৌসুমে সুপার কাপ, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ।
গত মৌসুমে ইউরোপের ক্লাবগুলোর কাছে হটকেক ছিলেন রদ্রিগো। ম্যানসিটি তাকে শত মিলিয়নে কিনতে এক পায়ে প্রস্তুত ছিল। এবার সিটিজেনদের তেমন আওয়াজ না থাকলেও চেলসি, আর্সেনাল ও ম্যানইউ রদ্রিগোয় আগ্রহী বলে জানা সংবাদ মাধ্যম দি সান দাবি করেছে। এছাড়া লিভারপুল তার দিকে নজর রাখছে। তবে আর্সেনাল ও ম্যানইউ-এর আগ্রহ বেশি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল