‘শ্রমিক সেজে’ উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা
Published: 2nd, May 2025 GMT
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির চৌধুরীকে দেখা গেছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, মহান মে দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গিয়াস উদ্দীন। উক্ত অনুষ্ঠানে যোগ দেন আব্দুল কাদির চৌধুরী। এমনকি র্যালিতে ইউএনওর কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
ইউএনওর সঙ্গে আওয়ামী নেতার ওই অনুষ্ঠানের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এক নেতা কীভাবে দাওয়াত পেতে পারেন।
বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস আহমদ তুষার বলেন, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গণহত্যাকারী দলের জেলা পর্যায়ের নেতা সরকারি অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবেন, বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারছি না।’’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘‘আমি এখানে এসেছি তিন থেকে চার মাস আগে। সবাইকে আমি চিনি না। এমনকি ওই আওয়ামী লীগ নেতাকেও চিনি না। তাকে প্রশাসনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তিনি শ্রমিক সেজে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন উপজ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন
আজ ২ নভেম্বর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) দিবস। ২০০৬ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করা দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানটি ঊনিশতম বছরে পদার্পণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ।
আরো পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার
মাছের উৎপাদন হ্রাসের কারণ নদীর দূষণ: মৎস্য সচিব
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি চত্ত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক উৎকর্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় একটি অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, গবেষণায় আগ্রহ ও সমাজসেবায় অংশগ্রহণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জ্ঞান ও গবেষণার বিনিময় জাতীয় উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে। তাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা প্রয়োজন “
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম।
দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী