আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির চৌধুরীকে দেখা গেছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

জানা গেছে, মহান মে দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গিয়াস উদ্দীন। উক্ত অনুষ্ঠানে যোগ দেন আব্দুল কাদির চৌধুরী। এমনকি র‌্যালিতে ইউএনওর কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।

ইউএনওর সঙ্গে আওয়ামী নেতার ওই অনুষ্ঠানের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এক নেতা কীভাবে দাওয়াত পেতে পারেন।

বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস আহমদ তুষার বলেন, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গণহত্যাকারী দলের জেলা পর্যায়ের নেতা সরকারি অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবেন, বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারছি না।’’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘‘আমি এখানে এসেছি তিন থেকে চার মাস আগে। সবাইকে আমি চিনি না। এমনকি ওই আওয়ামী লীগ নেতাকেও চিনি না। তাকে প্রশাসনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তিনি শ্রমিক সেজে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সিঙ্গাইরের ৭৭ মণ্ডপে অনুদান বিতরণ

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ৭৭টি পূজামণ্ডপে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সিঙ্গাইর পৌর এলাকার আঙ্গারিয়ায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এ সহায়তা তুলে দেন বাংলাদেশে বেলারুশের অনারারি কনসাল ও লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২৫ বছর ধরে মা শ্রীমতী গীতা রায়ের নামে দুর্গোৎসবে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছেন অনিরুদ্ধ কুমার রায়।

সহায়তা পাওয়ার পর তারেবপুর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর শ্রীশ্রী সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের সভাপতি মহানন্দ কীর্তনীয়া বলেন, পূজায় মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটায় বেশ খরচ হয়। এই সহায়তা পূজায় কাজে আসবে।

সিঙ্গাইর পৌর এলাকার আঙ্গারিয়া এলাকায় বাসিন্দা ও জয়মণ্টপ ইউনিয়নের বানিয়ারা পঞ্চায়েত দুর্গামন্দিরের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র সরকার (৬০) বলেন, ‘আর ১০ দিন পরই দুর্গোৎসব। মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। তবে এখনো মা দুর্গাসহ অন্যান্য প্রতিমা সাজানো হয়নি। রংতুলির কাজ হয়নি। এই আর্থিক সহায়তা মা দুর্গার গয়না ও শাড়ি কিনতে সহায়তা করবে।’

অনিরুদ্ধ কুমার রায় বলেন, মা দুর্গা যেমন মহাশক্তির প্রতীক, সব অশুভশক্তি ও শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার প্রতীক; তেমনি পৃথিবীর প্রত্যেক মা বুক দিয়ে তাঁর সন্তানদের আগলে রাখেন। সন্তানেরও কর্তব্য মাকে ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সেবা করা। সেই সঙ্গে মায়ের অপূরণীয় ঋণের কিছুটা হলেও পরিশোধের চেষ্টা করা। মায়ের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধার জায়গা থেকেই তিনি এই সহায়তা দিয়ে আসছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রথীন্দ্রনাথ দত্তের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মানোয়ার হোসেন মোল্লা। এ ছাড়া বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সত্যেনকান্ত পণ্ডিত ভজন, সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইতি রানী সাহা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস
  • দুর্গাপূজায় নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় থাকবে পুলিশ: আইজিপি
  • শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সিঙ্গাইরের ৭৭ মণ্ডপে অনুদান বিতরণ
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের কাজ কি শুধু ভাইভা নেওয়া
  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীতে বিদ্বেষ কেন
  • চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড: ট্রাম্প কি দাঙ্গা–ফ্যাসাদকেই নীতি হিসেবে নিয়েছেন
  • কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ