অনির্বাচিত সরকার দেশের জন্য নানান সংকট তৈরি করবে বলে মনে করেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই সংস্কার চাই। কিন্তু নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। অনির্বাচিত বা এমন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যতই ভালো হোক, দেশের জন্য আরও নানান সংকট তৈরি করবে।’

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে নুরুল হক নুর এ কথা বলেন।

কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি করে রাজনৈতিক বিভাজন করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘সরকারকে সীমিত সময়ের জন্য সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাইছে। আমরা সংস্কার দেখতে চাই। বিচারের অগ্রগতি দেখতে চাই। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রূপরেখা চাই।’

অনেকে সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি করে রাজনৈতিক বিভাজন করার চেষ্টা করছে বলে মনে করেন নুরুল হক নুর।

এ সময় নুর বলেন, ‘একটি মানবিক আশ্রয় দিয়ে আমরা যে বিপদে পড়েছি, আবার আরেকটি মানবিক করিডরের নামে দেশকে আবার কোন ফাঁদে ফেলা হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারী চৌধুরী, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ