তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, গণমাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে এক বছরে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারর্সের’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের সকল গণমাধ্যম এখন সরকারের প্রভাবমুক্ত। কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে টেলিফোন করে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। দেশের গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের ১৬ ধাপ উন্নতিই প্রমাণ করে—সরকার দেশের গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।

মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অতি শিগগিরই বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং দেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।

উল্লেখ্য, ৩রা মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে প্যারিস ভিত্তিক সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারর্সের’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স, ২০২৫-এ ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম। ২০২৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম। ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস্' -এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর মুক্ত সংবাদমাধ্যমের বিবেচনায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৭১ নম্বর। যা গত বছর (২০২৪) ছিল ২৭ দশমিক ৬৪।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২১তম। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৫ বছরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ৪৪ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, এ বছর মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের দুই ধাপ নিচে (১৫১তম)।

সূত্র: বাসস

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল দ শ র অবস থ ন সরক র র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

কিংস অ্যারেনায় খেলতে `অনিরাপদ’ বোধ করছে আবাহনী–মোহামেডান

ফুটবল মাঠে সমর্থক বা খেলোয়াড়দের হাতাহাতি–মারামারি নতুন কিছু নয়। কিন্তু বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় যা হচ্ছে, সেটাকে আর স্বাভাবিক বলার উপায় নেই। একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই চলছে দেশের শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের নিজস্ব ভেন্যুতে। যা শুধু ঘরোয়া ফুটবলেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, ছড়িয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। এ মাঠে খেলতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আবাহনী–মোহামেডানের মতো ক্লাবগুলো।

কিংস অ্যারেনায় গতকাল প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। দ্বিতীয় গোলের পর কিংসের সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন আবাহনীর উদ্দেশে ‘দেখিয়ে দিলাম’ ধরনের অঙ্গভঙ্গি করেন ডাগআউট থেকে, যার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ম্যাচের শেষ দিকে উত্তেজনা ছড়ায় রেফারির একসঙ্গে দুই দলের তিন খেলোয়াড় কিংসের সিনিয়র সোহেল রানা ও সাদ উদ্দিন এবং আবাহনীর শাহীন আহমেদকে লাল কার্ড দেখালে।

ম্যাচ শেষে তো লঙ্কাকাণ্ডই ঘটেছে। আবাহনীর খেলোয়াড় বাবুলকে কিংসের এক কর্মকর্তা ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ আকাশি–নীলদের। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন আবাহনীর সহকারী ম্যানেজার নজরুল ইসলাম। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। ডাগআউটের পেছনের গ্যালারিতে মারধরের শিকার হন আবাহনীর অতিরিক্ত খেলোয়াড় ফয়জুল্লাহ। গ্যালারিতে তখন নিরাপত্তা বলে কিছু ছিল না।

আবাহনীর কোচ মারুফুল হক বলেছেন, ‘খেলার পর অতিথি দলের কর্মকর্তাদের পাশে অচেনা লোকজনের মাস্তানি বা মারমুখী আচরণ দেখে মনে হচ্ছিল, এত সুন্দর একটি মাঠ, স্টেডিয়াম—যেটিকে নিয়ে আমরা গর্ব করতাম, তা আসলে দিনে দিনে অনিরাপদ হতে যাচ্ছে।’ বাইরের কোনো দলের জন্যই এই স্টেডিয়াম নিরাপদ নয় মনে করছেন আবাহনীর সহকারী কোচ প্রাণতোষও, ‘ওখানে ওরা নিজেদের ইচ্ছামতো সব করে। দেখলেন তো আমাদের অতিরিক্ত খেলোয়াড়কে কীভাবে মারল!’

এই ছবিটা গত বছরের ২২ নভেম্বরের। মাঠে স্মোক ফ্রেয়ার ছুঁড়েছিল কিংসের সমর্থকেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ