সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ: তথ্য উপদেষ্টা
Published: 3rd, May 2025 GMT
গণমাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ এক বছরে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
শুক্রবার (২ মে) ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস্’ -এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের সব গণমাধ্যম এখন সরকারের প্রভাবমুক্ত। কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে টেলিফোন করে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। দেশের গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে সরকার এরইমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের ১৬ ধাপ উন্নতিই প্রমাণ করে—সরকার দেশের গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।”
কমিশনের সুপারিশে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অতি শিগগিরই বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।”
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, “আগামী বছরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং দেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।”
৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে প্যারিস ভিত্তিক সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস্' -এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স, ২০২৫-এ ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম। ২০২৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম।
‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস্' -এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর মুক্ত সংবাদমাধ্যমের বিবেচনায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৭১ নম্বর। যা গত বছর (২০২৪) ছিল ২৭ দশমিক ৬৪।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২১তম। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৫ বছরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ৪৪ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
এ বছর মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের দুই ধাপ নিচে (১৫১তম)।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ র অবস থ ন সরক র র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না কানাডা
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অবনতির প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলে সমরাস্ত্র রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেছে কানাডা। রবিবার (৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
শনিবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ এক বিবৃতিতে জানান, গাজায় ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে- এমন সামগ্রী রপ্তানির জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে কোনো নতুন লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়নি।
তিনি বলেন, “গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে- এমন সামরিক পণ্যের লাইসেন্স আমরা ২০২৪ সালের শুরুতেই স্থগিত করেছি এবং এখনও তা স্থগিতই রয়েছে। কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।”
আরো পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরো ৬৮ ফিলিস্তিনির
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি: কানাডার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুুঁশিয়ারি
গত ২৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কানাডা থেকে ইসরায়েলে এখনও অস্ত্র যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আনন্দ বলেন, ‘প্রতিবেদনের বেশ কিছু দাবি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “প্রতিবেদনে যেগুলোকে গুলি বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে পেইন্টবল ধাঁচের। এগুলোর সঙ্গে এমন যন্ত্রও ছিল, যা আগ্নেয়াস্ত্রকে সাধারণ গোলাবারুদ ব্যবহারে অকার্যকর করে তোলে। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী নয়। যদি কেউ এমন কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করে, তা হলেও সেটির জন্য লাইসেন্স লাগবে- আর সেই লাইসেন্স কখনোই দেওয়া হতো না।”
তিনি আরো নিশ্চিত করেন, “লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার আগ থেকেই কোনো কানাডীয় প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে মর্টার সরবরাহ করেনি- সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনও ভাবেই নয়।”
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে আরো বলেন, “বৈধ লাইসেন্স ছাড়া কেউ সামরিক পণ্য রপ্তানি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে জরিমানা, মালামাল জব্দ এবং ফৌজদারি মামলা।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা কখনোই কানাডায় তৈরি অস্ত্রকে এই সংঘাতে ব্যবহৃত হতে দেব না।”
ঢাকা/ফিরোজ