দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অপরিবর্তীত রয়েছে।
শনিবার (৩ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৪০ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.
এর আগের সপ্তাহের (২০ থেকে ২৪ এপ্রিল) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৫৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৪০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.১৮ পয়েন্ট বা ১.৫৪ শতাংশ কমেছিল।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫.৫৮ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৫.৭৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ৯.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৬০ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.০৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১০.৬০ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৪.৬৫ পয়েন্টে,
সাধারণ বিমা খাতে ১১.৩২ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১২.৩১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১২.৪৬ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৫.৬৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৬.৪০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৬১ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ১৮.০২ পয়েন্টে, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.০৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ১৯.৬৭ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৩ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৪২.৩০ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ১০৬.২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসইর প ই র শ ও
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসিকে প্রযুক্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা দেবে এএসআইসি
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসির) প্রযুক্তিগত উন্নয় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন (এএসআইসি)।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বুধবার (১৮ জুন) বিএসইসির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী, অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে এএসআইসির সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএসইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী মুখপাত্র মো. মোহাইমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক-বিএসইসির বৈঠক
সূচক ডিএসইতে কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে পুঁজিবাজারে রিয়েল-টাইম নজরদারি ব্যবস্থা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং নির্ভর ডেটা অ্যানালিটিক্স টুলস বাস্তবায়নসহ উন্নত প্রযুক্তি সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া, বাজারে সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সুপটেক (সুপারভাইজরি টেকনোলজি) ও রেগটেক (রেগুলেটরি টেকনোলজি) এর প্রয়োগ, বিশেষ করে এক্সবিআরএল ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ঝুঁকি বিশ্লেষণ এবং রিপোর্টিং ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় হয়।
বৈঠকে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এএসআইসির সহায়তায় বিএসইসির বর্তমান গভর্নেন্স কাঠামো পর্যালোচনা, বিশেষ করে অতীতে ঘটে যাওয়া ইনসাইডার ট্রেডিং, তথ্য ফাঁস ও কারসাজির মতো অনিয়ম চিহ্নিত করার বিষয়েও সহযোগিতা চান। একইসঙ্গে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো তৈরিতে সহায়তা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণে এএসআইসির সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এএসআইসিরর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে গভীর আগ্রহ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ একটি যৌথ সহযোগিতা কাঠামো গঠনের বিষয়ে সম্মত হয় এবং শিগগিরই উভয় পক্ষ তাদের নিজ নিজ ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করবে বলেও জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের (এএসআইসি) পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জেরার্ড ফিটজপ্যাট্রিক, মার্কেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ লিডার বেন কোন-উরবাখ, অ্যালিসা ফ্রেডেরিক, বেলিন্ডা স্যান্ডোনাটো সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সিডনিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ হাই কমিশনের (ক্যানবেরা) বাণিজ্যিক কাউন্সিলর রনি চাকমা, সাবেক ডিএসই এমডি তারিক ভূঁইয়া, চেয়ার, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ফয়েজ দেওয়ান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী