একজন প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতিবিদ মাহতাব উদ্দিন
Published: 3rd, May 2025 GMT
বাংলাদেশে অনেক তরুণ ও উদীয়মান অর্থনীতিবিদ আছেন, যাঁরা আমার ছাত্র বা ছাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মাহতাব উদ্দিন নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা।
মাহতাব বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) গবেষণা পরিচালক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। বর্তমানে তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
প্রায় এক দশক ধরে একাডেমিক ও নীতি গবেষণার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত আছেন মাহতাব। তাঁর গবেষণার পরিধি ও বৈচিত্র্য প্রশংসনীয়। শ্রমবাজারের গঠন, কর্মসংস্থানের প্রবণতা, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য, অভিবাসনের ধারা ও প্রভাব, প্রবাসী আয়ের ব্যবহার এবং অর্থনীতিতে এর ভূমিকা—এই সব বিষয়ে গবেষণায় তাঁর সুস্পষ্ট দক্ষতা রয়েছে। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরির মতো জটিল নীতিগত প্রশ্ন নিয়েও তিনি গভীর অনুসন্ধানী কাজ করেছেন।
এসব গবেষণার প্রেক্ষাপটে মাহতাব এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), এশিয়া ফাউন্ডেশন, একশনএইড, ব্রিটিশ ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র (আইডিআরসি), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিসহ (ইউএনডিপি) একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে তিনি গবেষক, বিশ্লেষক এবং নীতিমালা প্রণয়ন সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
একাধিক গবেষণায় মাহতাবের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ আমার হয়েছে। এসব অভিজ্ঞতায় মাহতাবের মধ্যে যে গুণাবলির পরিচয় আমি পেয়েছি, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তাঁর অধ্যবসায় অবিস্মরণীয়—একটি জটিল গবেষণা প্রশ্নের গভীরে প্রবেশ করে, নানা তথ্যসূত্র সংগ্রহ করে এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুসংগত উত্তর বের করে আনার সক্ষমতা তাঁর ব্যতিক্রমধর্মী। তাঁর বিশ্লেষণী দক্ষতা গভীর ও বহুমাত্রিক—তথ্য ও উপাত্তের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে উন্নত পরিসংখ্যানপদ্ধতির প্রয়োগ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে তাঁর দক্ষতা লক্ষ করার মতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহতাব উদ্দিন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স