দেশের পট পরিবর্তনের পর ক্রীড়াঙ্গনেও আমূল পরিবর্তন আসে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনে’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।

শনিবার (৩ মে) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনয়াতনে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চমক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তামিম ভবিষ্যতে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে আসাদের প্রতি দিয়েছেন কঠোর বার্তা। তার ভাষ্য যারা নিজের জেলা-বিভাগকে উন্নতি করে না তাদের বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই।

আরো পড়ুন:

হৃদয়ের শাস্তি হাস্যকর, মোহামেডানের চাপ ছিল কি না সেটা জরুরি না: তামিম 

চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে মিরপুরে তামিম

“ক্রিকেটকে আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় খেলা মনে করি। অন্যান্য খেলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি। তবে সবচেয়ে বড় খেলায় যদি এমনটা হয়, কেউ যদি নিজের জেলা-বিভাগে ক্রিকেটে উন্নতি না করে তাহলে তার বোর্ডে আসা প্রয়োজন নেই।”

শুধু তাই নয় তামিমের চাওয়া যারা বোর্ডে আসতে চান তাদের জন্য ক্রিকটের জ্ঞান থাকে, "আমি ছোটো হয়ে আপনাদের একটা জিনিস অনুরোধ করব, যারা যোগ্য ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য, জেলা থেকে হোক বা বিভাগ থেকে হোক.

..যাদের বেসিক ক্রিকেটিং আইডিয়া আছে, যাদের একটা স্বপ্ন আছে- যে আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এই জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমি এটাই অনুরোধ করব যে তাদেরকেই সিলেক্ট করা হোক।"

নির্বাচন করে তামিম নিজেও ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান। ইতিমধ্যে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের  সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এই ক্রিকেটার। তামিম তার অতীত অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে জানান, অনেকেই ক্রিকেট বোর্ডে আসার পর নিজের জেলা-বিভাগকে ভুলে যান।

তামিম বলেন, "অতীতে আমি অনেকবার দেখেছি কেউ যখন জেলা বা বিভাগ থেকে আসেন ক্রিকেট বোর্ডে। পরবর্তীতে ওনারা ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর হয়ে যান, জেলা-বিভাগকে ভুলে যান। এমন অনেক জেলায় গিয়েছি আমি কয়েকদিন আগে, বরিশালেও গিয়েছি... এসব জায়গায় স্ট্যান্ডার্ড মানের একটা ক্রিকেট লিগও হয় না।"

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করার খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে মিছিল করছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।

বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দী হন। দীর্ঘ সময় তিনি জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাঁকে বঞ্চিত করছে। তাঁরা দলের এ সিদ্ধান্ত মানেন না। তাই প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালীন প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা যে যাঁর জায়গা থেকে মহাসড়কে উঠে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অন্তত সীতাকুণ্ডের ৩০টি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

ঘোষিত প্রার্থী কাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন বিধায় তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।

ফৌজদারহাট পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মাথা, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, কদমরসুল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রয়েছে। ফলে উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ