আসন্ন ২০২৫- ২০২৬ অর্থবছরের প্রাক বাজেটে কাঠামোগত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এনজিও সংগঠন ‘সেতু’। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাজেটে বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সংস্কারসহ নানাবিধ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পরিচালক এম এ আব্দুল কাদের, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ মজিদ, কৃষক ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি বদরুল আলম, সেতুর কোর্ডিনেটর নাজমুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক সাদী মাহমুদসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বদরুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, গত ৫৪ বছর আমরা দেখে এসেছি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত সব সময়ই অবহেলিত থেকেছে। এই দুটি খাত বাণিজ্যিক হিসেবে পরিচিত হয়েছে। জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন সেখানে বলা হয়েছিলম দেশে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। কিন্তু আমরা তা দেখছি না। নতুন যে সরকারের কাছে আমরা আশা করি, যে বাজেঠে দেশের জনগণের যে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে, তেমন একটা বাজেট ঘোষণা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত সরকারকে দেখেছি; করের বোঝা জনগণের মাথায় চেপে ধরে ছিলেন। আজ দারিদ্রসীমার মধ্যে বসবাস করা, ভিক্ষুককেও কর দিতে হয়। এটা দূর করে একটি বৈষম্যহীন করব্যবস্থা তৈরি করা প্রয়োজন। আমরা আশাকরি, আগামী বাজেট হবে বাস্তবসম্মত। 

এ সময় তিনি বাজেটের কাঠামোগত সংস্কার, টেকসই উন্নয়ন ও অংশগ্রহণমূলক বাজেট, কর কাঠামো সংস্কার, স্বাস্থ্যখাতে বাজেটের নীতিগত সংস্কার এবং শিক্ষাখাতে বাজেটের নীতিগত সংস্কারের দাবি জানান। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনজ ও ড আরইউ গত স স ক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন ঠেকাতে চাওয়া শক্তিকে জনগণ ক্ষমা করবে না: আমীর খসরু

নির্বাচন ঠেকাতে চাওয়া শক্তিকে জনগণ ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে ছিল না, এখন তারাই বলছেন নির্বাচন না হলেই ভালো। তারা এক ধরনের সুবিধা নিচ্ছেন। কিন্তু জনগণ তাদের এ সুযোগ বেশিদিন দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন ছাড়া কাউকে ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা দেবে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, তাদের প্রতি দেশের মানুষের বার্তা স্পষ্ট। তাদের জনগণ ক্ষমা করবে না। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মাটিতে তাদের কোনো ইচ্ছাও পূরণ হবে না।

তিনি বলেন, দেশে এখন নির্বাচিত সরকার নেই। ফলে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা, পারিশ্রমিক ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেউ নিচ্ছে না। মালিক ও প্রশাসনের একচেটিয়া অবস্থানে শ্রমিকেরা নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। তাই সবাইকে এগিয়ে এসে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিতে সহায়তা করতে হবে। ন্যায্য পাওনা আদায়ের লড়াইয়ে শ্রমিকদের পাশে আছে বিএনপি।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, যদি দেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকতো, তাহলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হতো। জনগণের মতামত বিবেচনা করা হতো। অথচ এখন এমন সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে, কাদের সঙ্গে বসে নিচ্ছে- তা জাতি জানে না।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি বলেছেন- বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতিতেই কেবল এই করিডোর সম্ভব, তাও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের শর্তে। তাহলে এখন যারা বাইরে বসে এসব দিচ্ছেন, তারা কীভাবে এত সাহস পাচ্ছেন?

বিএনপির এ নেতা বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলন হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ। যেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায় এবং দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ, দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিদেশি বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গত ১৬ বছর ধরে লড়াই করছি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। গণতন্ত্রের বাহনই হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া জনগণের ক্ষমতায়ন ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন সম্ভব নয়। নির্বাচন ছাড়া জনগণের মালিকানা ফেরানো সম্ভব নয়।।

তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, তারা নিজেরাই অনির্বাচিত সরকারের সুবিধাভোগী। তারা এখন নানান শর্ত দিচ্ছেন, এই না হলে নির্বাচন হবে না, ওই না হলে নির্বাচন হবে না। এসব বলে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। কারণ, তারা জানেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে গেলে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান মুখ থুবড়ে পড়বে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শ্রমিকরা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বাঁচবে। আমি চট্টগ্রামের একজন সেবক হিসেবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডের শ্রমিকের জন্য ২০ হাজার টিসিবি কার্ডের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিচ্ছি। তারা বয়স্ক ভাতা পাবেন। শ্রমিকরা মৃত্যুবরণ করলে তাদের স্ত্রী বিধবা ভাতা পাবেন। আমি শ্রমিকদের জন্য নাগরিক কার্ডের ব্যবস্থা করবো। দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে তারা নাগরিক কার্ডের আওতায় ভাতা পাবেন। আমরা শ্রমিকদের পক্ষে আছি।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগণের অনুমতি ছাড়া করিডোর নয়: টুকু
  • দুই মাসের মধ্যে হেফাজতের নেতা–কর্মীদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি মামুনুল হকের
  • সোহরাওয়ার্দীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ শুরু 
  • এমন আবহ তৈরি করা হচ্ছে, নির্বাচন চাওয়া যেন অপরাধ
  • বজ্রপাতে একদিনে ২৩ প্রাণহানির ১৯ জনই কৃষক
  • নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও প্রতিবেদন বাতিলের দাবি
  • গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ আওয়ামী লীগের রাজনীতি অস্বীকার করেছে
  • নির্বাচন ঠেকাতে চাওয়া শক্তিকে জনগণ ক্ষমা করবে না: আমীর খসরু
  • দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি: জাসদের শ্রমিক জোট