বিএনপির সমর্থনে ড. ইউনূস টিকে আছেন: দুদু
Published: 3rd, May 2025 GMT
বিএনপির সমর্থনের কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিকে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যাকে সমর্থন দিচ্ছি তিনি হচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে আছেন বিএনপির সমর্থনের কারণে। বিএনপি সমর্থন প্রত্যাহার করলে, তারপর কী হবে, তিনি কিন্তু তা বুঝতে পারছেন না বা তাকে বুঝতে দেওয়া হচ্ছে না।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সুনীল গুপ্ত স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ৎ
শামসুজ্জামান বলেন, দেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য আমরা তাকে (ড.
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে লড়াই করেছি। লড়াইটা এখনও আছে, এখনও রাজপথে আছি। সেই লড়াইটা শেষ হবে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। নির্বাচন যে পর্যন্ত না হয় সে পর্যন্ত আমাদের লড়াইটা চালু আছে। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কেউ কেউ বলেন- কোনো দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি। তাদের বলি- কোনো দল বাংলাদেশের ক্ষমতায় না এলে কে আসবে, সামরিক? তারা যদি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তাহলে দেখবে, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রে উত্তরণে আর দ্বিতীয় কোনো পথ নাই।
দুদু বলেন, বাংলাদেশকে বহিঃশত্রু থেকে বাঁচাতে, দেশের ভেতরে যেসব শত্রু আছে, তাদের মোকাবিলায়, দেশকে বিকশিত ও সত্যিকারের বাংলাদেশের রূপান্তরিত করতে হলে একটি রাজনৈতিক সরকার দরকার। সেই রাজনৈতিক সরকার আসবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।
তিনি আরও বলেন, আমি বলছি না বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। যে দলই ক্ষমতায় আসুক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে হতে হবে এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তারা কাজ করবে।
কারও নাম উল্লেখ করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, একদল আছে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মানতে চায়নি। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছে। তারা যেন বাংলাদেশের এখন সবকিছু।
‘দেশের সবাই জানে, আমরাও জানি বিএনপি ছাড়া এ দেশে আর দ্বিতীয় কোনো দল নাই, যারা ক্ষমতায় আসবে। যারা দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে। যারা বিএনপিকে বাদ দিতে চায়, তাদের বলব- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সুনীল গুপ্ত- এদের দিকে তাকান তাহলে বুঝবেন রাস্তা সোজা নাকি আঁকাবাঁকা।’
সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সুনীল গুপ্ত ইতিহাসের পাতায় জাতীয়তাবাদীর প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম দিকপাল। তাকে স্মরণ করা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করার মতোই। মাওলানা ভাসানী, সুনীল গুপ্ত, মশিউর রহমান যাদু মিয়া- তাদের রাজনৈতিক জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের বিষয়গুলোকে আমরা যত এড়িয়ে যাব আড়াল করব বাংলাদেশ তত ভঙ্গুর হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু, বিজন কান্তি সরকার, ভাসানী জনশক্তি পার্টির সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ গণতন ত র ব এনপ র ক ষমত য র জন ত র জন য ইউন স রহম ন স মরণ
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ঠেকাতে অবশ্য সচেতন থাকতে হবে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “এই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থার উত্থান কিংবা পুনর্বাসন ঠেকাতে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্য সচেতন থাকতে হবে এবং সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রবিবার (৩ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ছাত্রদল আয়োজিত এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, “মনে রাখবে, যদি তোমরা আগামী দিন সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে যাও, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ তোমাদের সঙ্গে আছে, ইনশাল্লাহ তোমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতেও তারা থাকবে। মনে রাখবে, বাংলাদেশের জনগণই বিএনপি, তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস।”
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশে বিভক্তি সৃষ্টি করার অনেক চেষ্টা হচ্ছে: ফখরুল
কোনোদিনই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেব না: ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “এই মুহূর্তে আমার সামনে উপস্থিত ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় লাখো লাখো মুখ, তোমরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ।ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তোমরাই প্রতিষ্ঠিত করবে নিজেদের অধিকার। আজকে প্রবীণ যারা, তাদের অভিজ্ঞতা, পরামর্শ আর তোমাদের বিচক্ষণ ও বুদ্ধিদীপ্ত ভূমিকায় নির্মিত হবে ইনশাল্লাহ আগামী দিনের বাংলাদেশ, লাখো শহীদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ।”
তারেক রহমান বলেন, “দেড় দশকের ফ্যাসবাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে।মামলা, হামলা, জেল-জুলুম, নির্যাতন, খুন, গুম, অপহরণের শিকার হয়েছে ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী। শুধু এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানেই চট্টগ্রামের ছাত্রদলনেতা ওয়াসিমসহ শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে আমাদের, আহত হয়েছে হাজার হাজার। গণঅভ্যুত্থানের সময় শুধু ছাত্রদলেরই দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে।”
তারেক রহমান আরো বলেন, “পলাতক পরাজিত স্বৈরাচার নিষ্ঠুর নির্মমতা চালিয়েও ছাত্রদলের অগ্রযাত্রা দমিয়ে রাখতে পারে নাই। আজকের এই লাখো ছাত্র-ছাত্রী, জনতার সমাবেশ আজকে আবারও সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে। একটি কথা তোমরা সবাই মনে রাখবে, যদি তোমরা আগামী দিন সয়াহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে যাও, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ তোমাদের সঙ্গে আছে, ইনশাল্লাহ তোমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতেও তারা থাকবে। মনে রাখবে, বাংলাদেশের জনগণই বিএনপির তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ